নেতৃত্বের দায়িত্বে সাকিবই সবার সেরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়ে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসানের নতুন যাত্রা শুরু হচ্ছে। তৃতীয়বার এ দায়িত্ব পেলেন তিনি। যদিও পরের সিরিজেই তথা জিম্বাবুয়ে সফরে বাঁহাতি এ অলরাউন্ডারকে পাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত নয় খোদ বিসিবি।
এমনকি কতদিন টেস্টের নেতৃত্বে রাখা যাবে সাকিবকে সেটিও অজানা বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের।তবে মুমিনুল হক অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর সাকিবই ছিলেন বাংলাদেশের কাছে সেরা বিকল্প। নেতৃত্বের দায়িত্বে তিনিই সেরা। এমনটাই মনে করেন তরুণ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।
গতকাল বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসপিএ) পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এসব বলেছেন মিরাজ। ঘোর অনিশ্চয়তা থাকলেও সাকিবের দ্বারস্থ হতে হয়েছে বিসিবিকে, কারণ এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ কম ছিল। তামিম, মুশফিকরা টেস্ট অধিনায়ক হতে আগ্রহী নন।
বর্তমান অবস্হায় সাকিবই সেরা অধিনায়ক মনে করেন এ তরুণ। গতকাল বলেছেন, ‘সাকিব ভাই অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। বর্তমানে আমাদের দলের অবস্হা অনুযায়ী আমি মনে করি, সাকিব ভাই সেরা। আরও যে সিনিয়র আছে, দায়িত্ব নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা এখন আস্তে আস্তে খেলছি, তাদের দেখে শিখছি। তাদের দেখে শিখব, আমাদের অভিজ্ঞতা আরও ভালো হবে। টেস্ট দলের সম্ভাব্য তরুণ অধিনায়কের তালিকায় ছিল মিরাজের নামও। লিটন দাস, মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্তর কথা আলোচনায় এসেছিল।
যদিও শেষ পর্যন্ত লিটনকে সাকিবের ডেপুটি করা হয়েছে। এখন নেতৃত্ব নিয়ে চিন্তিত নন মিরাজ। তিনি বলেন, ‘অনেক সময় আছে। এটা নিয়ে আমি চিন্তিত না। যেটা আপনি বললেন, নাম আছে। এটা নিয়ে মাথাব্যথা নেই। মাথাব্যথা হলো কীভাবে পারফর্ম করতে হবে, দেশকে কীভাবে ভালো খেলে এগিয়ে নিতে হবে।
আঙুলের ইনজুরির কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজটা খেলতে পারেননি মিরাজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়ে মাঠে ফিরবেন তিনি। ইনজুরি কাটিয়ে এখন পুরো ফিট তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছয় বছর পার করলেও নিজের পারফরম্যান্স, খেলার বাইরে কিছু চিন্তা করেন না মিরাজ। দলের জন্য অবদান রাখাই তার মূল্য লক্ষ্য।
মিরাজ গতকাল বলেছেন, ‘আমি এটাই চেষ্টা করি সবসময় নিজে প্রতিনিয়ত পারফরম করার জন্য। যেটা আপনি বলেছেন (অধিনায়কত্ব), কখনো আমার মাথায়ও ঢুকেনি। কারণ, নিজের পারফরম্যান্স এবং দল কীভাবে রেজাল্ট করে এটা নিয়েই সবসময় চিন্তা করি।