Breaking News

ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্টে দল থেকে কয়েকজনকে বাদ দেয়ার ইঙ্গিত দিলেন ‘ডমিঙ্গো’

সাম্প্রতি টেস্ট দলের উপর খুব একটা আস্থা রাখতে পারছেনা বাংলাদেশ হেড কোচ তায় টেস্ট দল থেকে কয়েকজনকে ছাটাই করার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। মূলত ব্যাটিং সহায়ক উইকেট। স্পিনার, পেসারদের জন্য বাড়তি সাহায্য নেই।

তবে স্কিল থাকলে এবং তা প্রয়োগ করতে পারলে বোলার সফল হবেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টেই (চট্টগ্রাম, মিরপুর) এমন উইকেটে খেলেছে বাংলাদেশ দল। মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, দিনেশ চান্দিমালরা রান পেয়েছেন।

স্পিনে সাকিব আল হাসান, পেস বোলিংয়ে দুই লঙ্কান ও এবাদত উইকেট তুলে নিয়েছেন। তবে তুলনামূলকভাবে অতিথিরা বেশি রান ও উইকেট পাওয়ায় ম্যাচের জয়ী দল তারা।

বাংলাদেশের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলছেন, টেস্ট ক্রিকেটে দীর্ঘমেয়াদে উন্নতির জন্য এ ধরনের ভালো উইকেটেই নিয়মিত খেলতে হবে। তবে মিরপুর টেস্টে ১০ উইকেটে হারের পর টেস্ট দলের ব্যাটিংয়ে কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন তিনি।

গতকাল শনিবার ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে যেটি অকপটেই বলেছেন ডমিঙ্গো। দ্বিতীয় ইনিংসের চিরাচরিত ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। সাকিব, লিটনের হাফ সেঞ্চুরিতে ইনিংস হার এড়ানো গেছে, কিন্তু চতুর্থ দিনের বিকালের ব্যাটিং ধস ও গতকাল লাঞ্চের পর ১৩ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা।

এমন বিপর্যয় ভাবিয়ে তুলেছে ডমিঙ্গোকে। গতকাল তিনি বলেছেন, ‘আমাদের ভিন্ন কিছু করতে হবে। হয়তো ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন করতে হবে। দুই ইনিংসেই যখন ২৪ রানে ৫টি, ২৩ রানে ৪টি উইকেট পড়বে, আপনি কোনোভাবেই টেস্ট জিতবেন না।

এসব বিষয় আমাদের দেখতে হবে এবং কিছু পরিবর্তন করতে হবে। শেষ ছয় থেকে আট মাসে এটা খুব বেশিবার ঘটছে। হয়তো ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন বা এক-দুইটা পরিবর্তন, আমাদের এটা করতে হবে সামনে এগিয়ে যেতে।

ম্যাচের তিন-চার দিন দাপট দেখালেও শেষ দিকে পথ হারিয়ে বসছে বাংলাদেশ। এই খারাপটা অতিমাত্রায় হওয়ায় আর ম্যাচে ফেরা যাচ্ছে না। শ্রীলঙ্কার কাছে ১-০ তে সিরিজ হারের পর ডমিঙ্গো বলেন, ‘আমরা ভালো অবস্হানে ছিলাম, আমাদের একটা বাজে সেশন গেছে।

আমরা চার দিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি এবং তারপর এমন বাজে একটা সেশন যে, আর ফেরার পথ থাকছে না। আমি নিশ্চিত, এটা খেলোয়াড়দের জন্যও খুব হতাশাজনক।

উইকেট নিয়ে অভিযোগ নেই এই প্রোটিয়া কোচের। বরং এ ধরনের ভালো উইকেটে খেলার পক্ষে তিনি, ‘খুব ভালো উইকেট ছিল ব্যাটিং এবং বোলিংয়ের জন্য। একজন ফাস্ট বোলার ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছে। সাকিব ৫ উইকেট পেয়েছে। আমরা উইকেট নিয়ে অভিযোগ করতে পারি না।

এটা এমন ধরনের উইকেট যেখানে আপনার স্কিলের উন্নতি হবে। চন্ডিকা হাথুরুসিংহের যুগের র্যাংক টার্নার বানিয়ে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ডমিঙ্গোর মতে, এই কৌশল এক-দুই ম্যাচে জয় এনে দেবে হয়তো তবে দীর্ঘ মেয়াদে টেস্ট দলের উন্নতি হবে না।

গতকাল সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহের ফমু‌র্লা নিয়ে ডমিঙ্গো বলেন, ‘এটা আপনাকে এক-দুইটা টেস্টে সাহায্য করতে পারে, কিন্তু টেস্ট দলের দীর্ঘমেয়াদের উন্নতিতে সাহায্য করবে না। অতীতের টেস্টগুলোর প্রতি সম্মান জানিয়ে বলছি, হয়তো সেগুলোই আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা হচ্ছে।

বাংলাদেশের হেড কোচ আরও বলেন, ‘আমি ভালো উইকেটের পক্ষেই কথা বলছি। যদি আমরা মনে করি, আমরা বাজে উইকেট বানাব, তখন দেশের বাইরে জেতার সুযোগ থাকবে না। দুইটা উইকেটই এবার ভালো ছিল। দল ভালো করেনি কারণ তারা বাজে উইকেটে খেলে অভ্যস্ত। ভালো উইকেটে খেললে দীর্ঘ মেয়াদে আপনার উন্নতি হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *