ম্যাচের ফলাফল হার, এটা যেন এখন মাত্র সময়ের ব্যবধান। সেই সাথে রয়েছে ইনিংস হারেরও শঙ্কাও। ৪০ রানের আগেই বাকি ৪ উইকেট হারালেই ইনিংস ব্যবধানে হারবে টাইগাররা ।
প্রায় প্রতি সিরিজেই যেন বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের গল্পটা এক। সেই একই ভুল! এ সবের মাশুল দিয়ে আরও একটি সিরিজে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে টাইগার বাহিনী। সেন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে টাইগারদের ইনিংস ব্যবধানে হার এড়ানোও এখন বেশ কঠিন।
রবিবার ড্যারেন স্যামি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা শেষে বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ১৩২। নুরুল হাসান সোহান ১ চারে ১৪ বল খেলে করেছেন ১৬ রান।
১৩ বল খেলেও রানের দেখা পাননি মেহেদী হাসান মিরাজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আবার ব্যাটিংয়ে পাঠাতে এখনও সফরকারীদের চাই ৪২ রান।
আগেই ৩ উইকেট হারানো বংলাদেশ তৃতীয় সেশনে হারায় আরও তিনটি। দুটি এলবিডব্লিউর বাইরে বাকি চার ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল তাড়ার চেষ্টায়।
লড়াইয়ের মানসিকতা খুব একটা দেখাতে পারেননি প্রায় কেউই। তামিম ইকবালকে দিয়েই শুরু হয় এমন এলোমেলো হওয়ার গল্প। তৃতীয় ওভারে কেমার রোচের ছেড়ে দেওয়ার মতো অনেক দূরের বল তাড়ায় উইকেট উপহার দেন বাঁহাতি এই পেসার।
তিনি রোচের ২৫০তম টেস্ট উইকেট। রোচের দুটি বাজে বলে চার মারার পর অফ স্টাম্পের বাইরে ছাড়ার মতো বল খেলতে যান জয়। কিন্তু ঠিক মতো পারেননি, ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ যায় স্লিপে।
সেখানে কোনো ভুল করেননি জার্মেইন ব্ল্যাকউড। এনামুল হককে একের পর এক ইনসুইঙ্গার করছিলেন রোচ। ডানহাতি ব্যাটসম্যান সেগুলো ছেড়ে দিচ্ছেলেন। স্টাম্পে থাকায় শেষ পর্যন্ত একটি খেলতেই হয়।
কিন্তু সেটাতে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি। আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দিলে রিভিউ নেন এনামুল। ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মতো তাকে ফিরে যেতে হয় আম্পায়ার্স কলে। এরপর লিটন দাসকে হারায় বাংলাদেশ।
জেডেন সিলসের বলে এলবিডব্লিউর রিভিউ নিয়ে সফল হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দায়িত্বশীল ভূমিকায় লড়াই করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু এরপর কি যেন হলো, হুট করে চালিয়ে দিলেন আলজারি জোসেফের অফ স্টাম্পের বাইরের এক বলে।
ধরা পড়লেন জশুয়া দা সিলভার গ্লাভেস। ৮ চারে ৯১ বলে ৪২ রান করেন শান্ত। আসেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তিনিও জায়গায় দাঁড়িয়ে অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলে ডেকে আনেন বিপদ।
ক্রিজে এখন কিপার-ব্যাটসম্যান সোহানের সঙ্গী অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মিরাজ। ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে এই দুই জনই বাংলাদেশের শেষ ভরসা। যদি ৪০ রান তুলতে পারে স্কোর বোর্ডে তাহলে ইনিংস হার থেকে রক্ষ্যা পাবে বাংলাদেশ।