দ্বিতীয় সারির দল নয় পূর্ণাঙ্গ দল নিয়েই জিম্বাবুয়ে সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ তবে শুধু যাচ্ছেন না সাকিব। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষ করে দম ফেলার সুযোগ পাবে না বাংলাদেশ দল। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে ঢাকায় ফিরে তিন দিন পরই জিম্বাবুয়ে সফর।
আগামী ২২ জুলাই ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে জিম্বাবুয়েতে যাবেন তামিম-মাহমুদউল্লাহরা। তবে এই সফরে যাচ্ছেন না দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ছুটি নিয়েছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার মিরপুরে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস সংবাদমাধ্যমকে বলছিলেন যে অনেকে বলছিল দ্বিতীয় সারির দল যাবে।
দ্বিতীয় সারির দল যাচ্ছে না, আমরা শক্ত বাংলাদেশ দল পাঠাতে চাই। তবে সাকিব যাচ্ছে না জানিয়ে জালাল ইউনুস বলেন, ‘সিনিয়র খেলোয়াড়ের বেশিরভাগই এভেইলেবল। তারা সবাই খেলতে চায়।
সিনিয়র মানে যারা খেলে সবাই-ই তো সিনিয়র, কয়েকজন ছাড়া এখন তো সিনিয়ররাই খেলছে। তারা জানিয়েছে তারা এভেইলেবল। সাকিব যাচ্ছে না, এটা আগেই আমাদের জানিয়েছে।
আগামী ১৮ জুলাই উইন্ডিজ থেকে ফিরে ২২ জুলাই জিম্বাবুয়ে যাবেন তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। জিম্বাবুয়ে পৌঁছেও ঠাসা সূচি বাংলাদেশ দলের। ২৫ জুলাই একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামবে টাইগাররা।
২৮ জুলাই ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে। ৩০ জুলাই ও ১ আগস্ট হবে সিরিজের শেষ দুই ওয়ানডে। ওয়ানডে সিরিজ শেষে শুরু হবে টি-টোয়েন্টির লড়াই। আগামী ৪, ৬ ও ৮ আগস্ট মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচ।
সব ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে হারারেতে। যদিও ওয়ানডে সিরিজটি ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ নয়, তবুও পূর্ণ শক্তির দল দেবে বোর্ড। জালাল ইউনুস বলছিলেন, ‘আজ নির্বাচকদের সাথে আমরা বসেছিলাম।
তারা একটা দল চূড়ান্ত করছেন। যে দল এখন আছে, তাদের সবাই থাকছে। জিম্বাবুয়েতে পূর্ণ শক্তির দল যাবে। হয়ত পয়েন্টের খেলা নয়, চ্যাম্পিয়নশিপ বা সুপার লিগ নয়।
কিন্তু সিরিজটি গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আমরা গুরুত্বের সাথে নিচ্ছি। আমরা যাতে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারি। অনেকে বলেছিল, দ্বিতীয় সারির দল। দ্বিতীয় সারির দল যাচ্ছে না, আমরা শক্তিশালী বাংলাদেশ দল পাঠাতে চাই।