Breaking News

আফিফের ৫০-লিটনের ৪৯ রানের উপর ভর করে উইন্ডিজকে ১৬৪ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ

আফিফের ৫০ এবং লিটনের ৪৯ রানের উপর ভর করে উইন্ডিজকে ১৬৪ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ। হাফ সেঞ্চুরি হতে পারতো দুটি। কিন্তু লিটন দাস আউট হলেন ৪৯ রান করে।

আফিফ হোসেন ধ্রুব হাফ সেঞ্চুরি করলেও একই বলে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে হলেন রানআউট। যার ফলে বড় ইনিংস গড়ে উঠতে পারেনি।

তবুও, শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৬৪ রানের লক্ষ্য বেধে দিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ৪৯ রানের মাথায় এসে থেমে যেতে হয়েছিল লিটন দাসকে।

হাফ সেঞ্চুরির জন্য রানটি নিতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন তিনি। আউট হয়ে যান এক রানের আফসোসে পুড়ে। তবে, লিটন না পারলেও হাফ সেঞ্চুরিটা করতে পারলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।

তবে হাফ সেঞ্চুরিটা করে আর উইকেটে থাকতে পারেননি। হাফ সেঞ্চুরি পূরণের বলেই দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে হলেন রানআউট। ৩৮ বল খেলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি।

বাউন্ডারির মার মারেন ২টি, ছক্কাও মারেন ২টি। ক্যারিয়ারে এটা তার দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। এর আগে সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।

৩৫ রানের মাথায় এনামুল হক বিজয় এবং ৪২ রানের মাথায় সাকিব আল হাসানকে হারিয়ে যখন প্রায় ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে, তখন বাংলাদেশ ত্রাণকর্তা হিসেবে উইকেটে লড়াই করে যাচ্ছিলেন লিটন দাস এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব। যদিও ক্যারিবীয়দের বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে কয়েকবার জীবন পেয়েছেন দুই ব্যাটারই।

তবে ওপেনার লিটন দাস দারণ একটি হাফ সেঞ্চুরি মিস করলেন। ৫০ পূরণের রানটা নেয়ার জন্যই এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে বলকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে চাইলেন। কিন্তু বল চলে গেলো পয়েন্টে আকিল হোসেনের হাতে।

সহজ ক্যাচটি তালুবন্দী করতে বেগ পেতে হয়নি আকিলকে। হাফ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১ রান দুরে থাকতে আউট হয়ে গেলেন লিটন।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনাই করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস এবং এনামুল হক বিজয়। পাওয়ার প্লেকে ভালোভাবে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে বলতে গেলে শুরু থেকেই তারা ছিলেন মারমুখি। সবচেয়ে বেশি ছিলেন লিটন দাস।

একপাশে লিটন রানের চাকা সচল রাখছিলেন, অন্যদিকে বিজয় ধরে খেলার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ৫ম ওভারে দলের রান যখন ৩৫, তখন ওডেন স্মিথকে একটি বাউন্ডারি মেরে নিজের হাত খোলার ইঙ্গিত দেন বিজয়।

কিন্তু ওভারের তৃতীয় বলটি বিজয় কী খেলতে চেয়েছিলেন, আর বল কোথায় গেলো তা মোটেও বুঝতে পারলেন না তিনি। ওডেন স্মিথের করা মিডল স্ট্যাম্পের ওপর গুড লেন্থের বলটি বিজয় খেলতে চেয়েছিলেন মিডউইকেটের ওপর দিয়ে।

কিন্তু বল লেগে গেলো ব্যাটের উপরের কানায় এবং চলে গেলো সোজা থার্ড ম্যান অঞ্চলে। আকিল হোসেইনের ক্যাচটি ধরতে মোটেও বেগ পেতে হলো না। ১১ বলে ১০ রান করে আউট হন বিজয়।

বিজয় আউট হওয়ার পর ব্যাট করতে নামেন সাকিব। ওডেন স্মিথকে নিজের প্রথম বলেই বাউন্ডারি মেরে জানান দেন, প্রতিরোধ গড়তেই এসেছেন তিনি।

কিন্তু পরের ওভারেই (৬ষ্ঠ ওভার) রোমারিও শেফার্ডের বলে বিজয়ের মত ভুলটা করলেন সাকিবও। শর্ট লেন্থের বল ছিল। খেলতে চেয়েছিলেন বাউন্ডারির লক্ষ্যে।

কিন্তু বল ব্যাটের উপরের কানায় লেগে উঠে যায় আকাশে। মিডউইকেটে দুরহ ক্যাচটি তালুবন্দী করলেন ওডেন স্মিথ। ৩ বলে ৫ রান করে আউট হলেন সাকিব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *