রহমানউল্লাহ গুরবাজের ব্যাট যেন খাপখোলা তলোয়ার! যাতে একের পর এক কাটা পড়েছেন লঙ্কান বোলাররা। তার বিধ্বংসী ইনিংস আর ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাটে চড়ে শ্রীলঙ্কাকে বড়সড় এক চ্যালেঞ্জই ছুঁড়ে দিয়েছে আফগানিস্তান।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান স্কোরবোর্ডে জমা করেছে তারা। শারজাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি আফগানিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা।
টস জিতে এদিন শুরুতে আফগানদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান লঙ্কান অধিনায়ক। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্তের পেছনে রান তাড়ায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধের কথা বলেছিলেন দাসুন শানাকা।
সুপার ফোরে ওঠার ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে আরব আমিরাতের মাটিতে রেকর্ড ১৮৪ রান তাড়া করে ম্যাচ জয়ের কীর্তি এখনো তাদের তাজা স্মৃতি, তাই আফগানদের দেওয়া ১৭৬ রানের লক্ষ্য তাদের জন্য ভীতিজাগানিয়া নয় মোটেই।
তবে দুর্ধর্ষ আফগান বোলিংয়ের বাধা তুচ্ছ করে লক্ষ্যে পৌঁছানো যে সহজ হবে না, তা অনুমেয়। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা আফগানিস্তানের শুরুটা ভালোই হয়েছিল।
এক প্রান্তে দারুণ সব শটের পসরা সাজিয়ে দ্রুতগতিতে রান তুলছিলেন গুরবাজ। তবে ব্যাট হাতে এদিন নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন অন্য ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে দিলশান মাদুশাঙ্কার বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ১৬ বলে ১৩ রান করেন তিনি। জাজাই ফেরার পর তিনে নামা ইব্রাহিম জাদরানকে (৩৮ বলে ৪০) সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৯৩ রানের জুটি গড়ে তোলেন গুরবাজ।
শ্রীলঙ্কান বোলারদের তুলোধুনো করে ২২ বলে অর্ধশতক তুলে নেন তিনি। ম্যাচের ১৬তম ওভারে আসিথা ফার্নান্দোর বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৪টি চার এবং ৬টি ছয় সহযোগে ৪৫ বলে ৮৪ রান করেন তিনি।
গুরবাজ সাজঘরে ফিরে যাওয়ার পর টপাটপ উইকেট হারাতে থাকে আফগানরা। শেষদিকে রশিদ খানের (৭ বলে ৯*) ছোট্ট ক্যামিওতে সম্মানজনক সংগ্রহ পায় তারা।