নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জিতে শুরু হয়েছে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। টাইগারদের পরের পরীক্ষা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে সিডনিতে, যেই শহরটিতে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি বাস করেন।
তাই অস্ট্রেলিয়ার অন্য ভেন্যু থেকে এখানে গ্যালারির সমর্থনটা বেশি পাবে বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জানান, এমনটা হলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই শক্তি তাদের তাতিয়ে দিতে পারে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলেও বৃষ্টি আইনে পয়েন্ট হারিয়েছে প্রোটিয়ারা। এতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি তাদের জন্য হয়েছে বাঁচা মরার লড়াই।
চাপে থাকা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সেদিক থেকে একটা সুযোগ দেখছেন সাকিব। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে গ্যালারিতে প্রবল সমর্থন দিতে পারে বাড়তি শক্তি।
বুধবার ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাকিব জানান, ‘ওদের বেশ কিছু বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে, সেটা আমরা অস্বীকার করছি না। কিন্তু আমাদের খেলা হবে ব্যাটে ও বলে। সেখানে আমরা চেষ্টা করব ভালো পারফর্ম করার।
ওদের বিপক্ষে আমাদের কিছু ভালো স্মৃতি আছে, হয়ত অন্য সংস্করণে। সেগুলো আমাদের মানসিকভাবে সাহায্য করবে। আমরা খেলাটা উপভোগ করতে চাই। আমি আশা করি বেশ ভালো সংখ্যক মানুষ আসবে, যারা আমাদের সমর্থন করবে।
তাদের সমর্থনের প্রতিদান যেন আমরা দিতে পারি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে এখন অব্দি কোনও জয় নেই লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। তবে বাংলাদেশ অতীত ইতিহাস পাল্টে দেওয়ার মিশন নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পা দিয়েছে।
দলগুলোকে নিয়ে আলাদা আলাদা পরিকল্পনা থাকা অস্বাভাবিক নয়। সাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কন্ডিশন বিবেচনায় টসের বিষয়টি মাথায় থাকবে কি না?
কিন্তু দলের কোনো পরিকল্পনাই জানাতে চান না অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। টাইগার দলপতি জানান, ‘টস তো আমাদের হাতে নেই। ম্যাচটা যেহেতু জেতার জন্য খেলতে নামব, আগে ব্যাটিং কিংবা বোলিং যা–ই করি, ভালো করার চেষ্টা করব।
দক্ষিণ আফ্রিকার জন্যও ম্যাচটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় বাঁচা-মরার ম্যাচ। তাই ওরা একটু হলেও চাপে থাকবে। আর আমরা এমন একটা মাঠে এসেছি, যেখানে আমরা যেকোনো দলের সঙ্গে খেলতে পছন্দ করব।
কারণ, অস্ট্রেলিয়ার যেকোনো উইকেটের চেয়ে এখানে (সিডনি) সাধারণত স্পিনারদের জন্য সুবিধাটা বেশি থাকে।