শুরুতে ভাল বলিং না করতে পারলেও এক ওভারে ২ উইকেট নিয়ে উইন্ডিজদের ভাল চাপেই ফেলে দিয়েছেন ডান হাতি এই ফাস্ট বলার। আগের ওভারে মিরাজের স্পিন জাদুতে বেক্তিগত ৫১ রানে বোল্ড আউট হয়ে ফিরলেন ব্র্যাথওয়েট ।
কিছু বুঝে ওঠার আগেই সরাসরি বোল্ড হয়ে ফিরে জান তিনি। এর আগে দিনের প্রথম উইকেট এনে দেন শরিফুল, দারুণ ডেলিভারিতে উইন্ডিজদের প্রথম উকেট তুলে নেন দলীয় ১০০ রানের মাথাই।
সেই থাকে ভাংলেন ১০০ রানের জুটি। এর আগে দিনের শুরুতে বলিংয়ে কেউই তেমন সুভিদা করতে পারছিলো না অবশেষের দেখা মিলেছিলো শরিফুলএর হাত ধরে সেই কাঙ্ক্ষিত প্রথম উইকেট । এই প্রতিবেদন লেখার আগ পর্যন্ত –
সংক্ষিপ্ত স্কোর দ্বিতীয় দিন:
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস) – ২৩৪/৯ (৬৪.২ ওভার) (তামিম ৪৬, জয় ১০, শান্ত ২৬, বিজয় ২৩, লিটন ৫৩, সাকিব ৮, সোহান ৭, মিরাজ ৯, শরিফুল ২৬, এবাদত ২১*, ফিলিপ ২/৩০, জোসেফ ৩/৫০, সিলস ৩/৫৩)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ (প্রথম ইনিংস) – ১৩৭/৪ (৪২ ওভার) (ক্যাম্পবেল ৪৫, ব্র্যাথওয়েট ৫১, রাইমন ২২, ব্লাচউড ২* মায়ারস ৪* ; শরিফুল ১/৩৪, মেহেদি ১/২০,খালেদ ২/৪১)
দিনের শুরুতে বিনা উইকেটে ৬৭ নিয়ে ব্যাটিং নেমে প্রথম দিনের শেষ বিকেলের মতো এদিনও দ্রুত রান তোলায় মনোযোগী ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে খানিকটা গোছানো বোলিং করার চেষ্টা করেছেন এবাদত হোসেনরা। তবে বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দিতে পারছিলেন না তারা।
বরং বাংলাদেশের পেসারদের দারুণভাবে সামলে রান তুলছিলেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও জন ক্যাম্পবেল। অবশেষে সফরকারীদের সাফল্য এনে দেন শরিফুল ইসলাম।
বাঁহাতি এই পেসারের শর্ট পিচ ডেলিভারিতে অতিরিক্ত বাউন্স থাকায় সেটি পুল করতে চেয়েছিলেন ক্যাম্পবেল। তবে ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক না হওয়ায় বল পাড়ি জমায় উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে।
তাতে দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা ক্যাম্পবেল সাজঘরে ফেরেন ৪৫ রানে। ব্র্যাথওয়েটকে সঙ্গ দেয়া রেইফারকে বোল্ড করেছেন ডানহাতি এই পেসার খালেদ।