বিশ্বকাপের বছর- এক মাসজুড়ে সব চোখ ছিল কাতারে। সেই আসর ভাঙতেই নতুন আলোচনা। কে হবেন সেরা, কারা পাবেন পুরস্কার। যার মধ্যে ব্যালন ডি’অর ও ফিফা দ্য বেস্ট নিয়েই বেশি কথা হচ্ছে। ফুটবলের দুই মর্যাদার পুরস্কার কারা পাবেন, এ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
কেউ লিওনেল মেসিকে রাখছেন এগিয়ে, কেউ আবার কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। আবার দু’জনের বাইরেও কারও কারও নাম শোনা যাচ্ছে। তবে বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সও যে প্রভাব ফেলবে দুই পুরস্কারে, সেটা অনেকটাই অনুমেয়।
বছরটা যেহেতু বিশ্বকাপের ছিল, তাই দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের গ্রেটেস্ট খেলোয়াড়রাই থাকবেন বিচারকদের মাথায়। যেখানে মেসি, এমবাপ্পে তো নিশ্চিত, তাঁদের সঙ্গে লুকা মডরিচ, নেইমার,
এনজো ফার্নান্দেজ এমনকি এমিলিয়ানো মার্টিনেজদের নিয়েও ভাবতে হবে। কেননা বিশ্বকাপের আসরটা যে তাঁরাই মাতিয়ে রেখেছিলেন। ক’দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে বর্তমান দ্য বেস্ট জয়ী রবার্ট লেভানডস্কি জানিয়ে দিয়েছেন,
এবার ব্যলন ডি’অরটা মেসির হাতেই উঠবে। দিয়েগো ম্যারাডোনার পর আকাশি-সাদাদের থ্রি স্টার এনে দেওয়ার কারিগর যে মেসিই। এ ছাড়া ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর তুমুল বিতর্কের মাঝে নিজেকে আরও ছাড়িয়ে যান মেসি।
গোল, অ্যাসিস্ট করে ভাঙেন একাধিক রেকর্ড। জেতেন সোনালি ট্রফিটা। তাই তো কিংবদন্তি কোচ, খেলোয়াড় এমনকি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে কারও কারও মুখে মেসির জয়গান।
সেরা নিয়ে যে বিতর্ক ছিল, সেখান থেকে অনেকেই সরে গেছেন। বেশিরভাগই এখন মেসিকে মানছেন নাম্বার ওয়ান। সেদিক থেকে মেসির অষ্টম ব্যালন ডি’অরের পাশাপাশি ফিফা দ্য বেস্টও জেদার সম্ভাবনা রয়েছে।
যেহেতু দুই পুরস্কারের পুরো প্রক্রিয়াটাই ভোটিংয়ে হয়, তাই এখনই হলফ করে বলা মুশকিল কে জিতবেন। তবে মেসিকে এগিয়ে রাখলে দোষ হবে না। তাঁর সঙ্গে এমবাপ্পেও থাকবেন।
কেননা, শিরোপা না জিতলেও ফাইনাল অবধি ফ্রান্সের সারথি ছিলেন। হারলেও শিরোপার মঞ্চে করেছেন হ্যাটট্রিক। তবে আর্জেন্টিনার গোলকিপার মার্টিনেজ এ দুই পুরস্কারের কোনোটা পেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
দ্য বেস্টের ঘোষণা জানুয়ারি যেতেই পেয়ে যাবেন ফুটবল অনুরাগীরা। তবে ব্যালন ডি’অরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২০২৩ সালের শেষ অবধি।