Breaking News

৩৭ বছর পর ফুটবলে কুয়েতের বিপক্ষে খেলবে ‘বাংলাদেশ’

বিশ্ব ফুটবলে কুয়েত এখন নিজেদের ছায়া। এক সময় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দাপুটে পদচারণা ছিল মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটির। ফিফা র‌্যাংকিংয়েও দেশটির অবস্থান ছিল ওপরের দিকে। ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে ১৯৪টি দেশের মধ্যে ২৪ নম্বরে ছিল কুয়েত।

ফিফা র‌্যাংকিংয়ে এটাই দেশটির সর্বোচ্চ অবস্থান। কেবল র‌্যাংকিংয়েই নয়, তাদের মাঠের পারফরম্যান্স ছিল সমীহ করার মতো। ১৯৮০ সালে এশিয়ান কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বিশ্বকাপ খেলেছে ১৯৮২ সালে। সেই কুয়েতের বর্তমান

অবস্থান ১৪১ (আজ ঘোষিত র‌্যাংকিং)। আমন্ত্রিত দল হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল টুর্নামেন্ট সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলছে কুয়েত। পাকিস্তান ও নেপালকে হারিয়ে এবং ভারতের বিপক্ষে ড্র করে এ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সাফের

সেমিফাইনালে এ অতিথি দলটি। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কুয়েত মোকাবিলা করবে বাংলাদেশকে। শক্তি-সামর্থ্যে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে কুয়েত। ফিফা র‌্যাংকিংয়ে দুই দলের পার্থক্য ৫১ ধাপ। শনিবার ভারতের বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা

স্টেডিয়ামে বিকেলে সাড়ে ৩টায় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম সেমিফাইনালে কুয়েতের বিপক্ষে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যখন আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক হয় ১৯৭৩ সালে, ওই বছরই কুয়েতের সঙ্গে দেখা হয়

মালয়েশিয়ার মারদেকা কাপে। প্রথম সাক্ষাতে ২-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশে। বাংলাদেশের গোলটি করেছিলেন এনায়েতুর রহমান খান। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে দেখা হয়েছে দুবার। সর্বশেষ সাক্ষাৎ হয়েছিল ১৯৮৬ সালে সিউল

এশিয়ান গেমসে। বাংলাদেশ হেরেছিল ৪-০ গোলে। দীর্ঘ ৩৭ বছর পর আবার কুয়েতের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বাংলাদেশের। ফিফা র‌্যাংকিংয়ে দুই দলের পার্থক্যের প্রভাব মাঠে থাকবে না বলেই মনে করছেন বাংলাদেশের ফুটবলামোদীরা।

এ সাফে বাংলাদেশ যে তিনটি ম্যাচ খেলেছে তা চোখে লেগে থাকার মতো। পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতায় থাকতে পারলে কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশ দারুণ লড়াই করবে বলেই আশা সবার। কুয়েতকে হারিয়ে ফাইনাল খেলার স্বপ্নও দেখছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *