Breaking News

সামনে বিশ্বকাপ, নিজেকে ফিট রাখাটাই চ্যালেঞ্জ: সাইফউদ্দিন

বিশ্বকাপের আগে নিজেকে সুস্থ রাখাটাই চ্যালেঞ্জ বলে মানছেন সাইফউদ্দিন। বাংলাদেশ দলে একজন জেনুইন পেস বোলিং অলরাউন্ডারের খুব অভাব। দীর্ঘদিন পর যাও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে পাওয়া গেলো, তাতেও খুব একটা লাভ হচ্ছে না।

কারণ, একের পর এক ইনজুরিতে পড়ে সাইফউদ্দিনের ঠিকমতো খেলাই হচ্ছে না। গত অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় ইনজুরিতে পড়েছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন রিহ্যাবে থাকার পর অবশেষে গত প্রিমিয়ার লিগে মাঠে ফিরেছেন।

এখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সীমিত ওভারের ম্যাচের জন্য।

আজ মিরপুরে মিডিয়ার সামনে মুখোমুখি হয়ে নানা প্রশ্নের জবাব দিলেন সাইফউদ্দিন। দীর্ঘ ইনজুরির পর আত্মবিশ্বাসের লেভেলটা কোথায় আছে এখন? জানতে চাইলে সাইফউদ্দিন বলেন, ‘এতোদিন কিছুটা কনফিউজড ছিলাম যে আমার ভেতর কিছু আছে কিনা।

বাট যেহেতু ইংল্যান্ডে গেলাম বিসিবির অধীনে, স্ক্যান করানোর জন্য। তো স্ক্যান দেখে দেখা যায় আমার কিছু হয়নি। তাই কিছুটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে বোলিং করছি এখন। তবে জানি না কতদিন সুস্থ থাকতে পারব।

চেষ্টা করছি, যতদিন খেলতে পারি বা সামনে বিশ্বকাপ আছে। ২০২৩ বিশ্বকাপ আছে, তো পারফরম্যান্সের পাশাপাশি সুস্থ থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ আমার জন্য।

নতুন পেস বোলিং কোচ এসেছেন অ্যালান ডোনাল্ড। তার সঙ্গে কাজ করা হয়েছে সাইফের? জবাবে তিনি বলেন, ‘না আসলে এখনো ওভাবে কাজ করা হয়নি। যেহেতু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে যখন জহুর আহমেদে খেলা হয়েছিল চট্টগ্রামে, ওখানে আমি অনুশীলনে গিয়েছিলাম।

ওখানে কিছুটা হাই-হ্যালো আলাপ হয়েছিল, কথা হয়েছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে যদি থাকি ওনার সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেট কেমন? সেখানকার উইকেট সম্পর্কে কোনো ধারণা আছে? সাইফউদ্দিন জানালেন, ধারণা নেই। কারণ এবারই প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমার জন্য প্রথম। ক্রিকেট নেশন সবগুলো দেশে আমি গিয়েছি, বাট ওয়েস্ট ইন্ডিজে এবারই আমার প্রথম।

হয়তোবা ওই কন্ডিশন বা উইকেট আমার জানা নেই। তারপরও যেহেতু ইউটিউবে যুগ, বিভিন্ন ম্যাচগুলোর হাইলাইটস দেখছি আসলে কত স্কোরিং হতে পারে। যেসব টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলা ওরা খেলেছে, যেহেতু আমার আগে টি-টোয়েন্টি তো এটা আমি দেখছি।

যতটা আইডিয়া নেওয়া যায় ম্যাচগুলো দেখে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্যক্তিগত লক্ষ্য কী সাইফউদ্দিনের? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপাতত কোনো লক্ষ্য সেট করিনি। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ওদের সাথে খেলেছি। দেশের মাটিতে অনেকগুলো ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলেছি।

তাই ওদের সাথে খেলার কিছু অভিজ্ঞতা আছে। যদিও ওদের কন্ডিশনে খেলা, এবার প্রথম খেলব যদি সুযোগ পাই। ভালো জায়গায় বল করলে ব্যাটাররা সবসময় সমীহ করে।

খারাপ বলে সবাই বাউন্ডারি মারবে। আবার আমি ব্যাটিংয়ের সময় লুজ বলের অপেক্ষা করি। সব জায়গায় ভালো লাইন-লেন্থ রেখে বল করলে ভালো করা সম্ভব। কন্ডিশন বড় বিষয় নয়।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে খেলা কোনো চ্যালেঞ্জ কি না? জানতে চাইলে সাইফউদ্দিন বলেন, ‘তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। সুযোগ পেলে ভালো করার চেষ্টা করব। কোনো গোল সেট করিনি।

দলের জয়ে ১০ রানও গুরুত্বপূর্ণ হলে সেটা আমার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। দলের জন্য উইকেট কাজে লাগলে এটাই আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

নিজের বোলিং নিয়ে আত্মবিশ্বাস কতটুকু? সাইফউদ্দিনের জবাব, ‘প্রিমিয়ার লিগের পর লম্বা গ্যাপ ছিল। বিশ্বকাপের পর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলিনি।

প্রস্তুতির জন্য রাজশাহী গিয়ে একটা ম্যাচ খেলেছি। এটা টি-টোয়েন্টির সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য। বিগত কয়েক সিরিজে পেস বোলাররা ভালো ছন্দে আছে। এটা দেশের জন্য ইতিবাচক। ইনশাআল্লাহ আমিও চেষ্টা করব সেরাটা দিয়ে দলে জায়গা করে নেওয়ার।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ওয়ানডেতে কে ফেবারিট? সাইফউদ্দিনের জবাব, ‘আমরা টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির চেয়ে ওয়ানডে বরাবরই ভালো খেলে আসছি।

সবাই আত্মবিশ্বাসী থাকে এই ফরম্যাটে। আসলে ফেবারিট বলে কিছু নেই। যার দিন ভালো যাবে সেই জিতবে। যেহেতু ওদের কন্ডিশনে খেলা কিছু সুবিধা তো পাবে। ওদের মাটিতে আগেও ওয়ানডে সিরিজ হারিয়েছি। সেদিক থেকে আমরা ফেবারিট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *