Breaking News

প্রথমার্ধে মেসি-ডি মারিয়ার যুগলবন্দী গোলে ২-০ গোলে এগিয়ে শিরোপা জয়ের পথে ‘আর্জেন্টিনা’

এই আর্জেন্টিনাকে শেষ কবে দেখেছিল? কোপা আমেরিকার ফাইনালে এমন আর্জেন্টিনা দেখেছিল সবাই। আবারো এমন দুর্দান্ত আর্জেন্টিনাকে দেখলো। বিশ্বকাপের ফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে রইল আর্জেন্টিনা।

ডি মারিয়া দলের জন্য যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আবারো প্রমাণ করলেন। নক-আউট রাউন্ডের একটি ম্যাচেও একাদশে সুযোগ পাননি ইনজুরির কারণে। কিন্তু ফাইনালে তিনি জ্বলে উঠলেন।

ডি মারিয়া ও মেসির গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৪ মিনিটে ডি পল এবং আলভারেজের দারুণ বোঝাপড়ায় ডি পলের বাড়ানো বলে আলভারেজ শট নিলেও রেফারি অফসাইডের সিদ্ধান্ত দেন।

৬ মিনিটে ম্যাক এলিস্টারের দূরপাল্লার শট সোজা তালুবন্দি করেন ফ্রেঞ্চ গোলরক্ষক লরিস। এর ঠিক ২ মিনিট পর আবারো আক্রমণ করে আর্জেন্টিনা। এবার ডি পল ডি বক্সের বাইরে থেকে জোড়ালো শট

নিলে ফ্রেঞ্চ ডিফেন্ডার ভারানের পায়ে লেগে বল বাইরে চলে গেলে কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। অবশ্য সেই কর্নার কাজে লাগাতে পারেনি আলবিসেলেস্তারা। ১৬ মিনিটে আবারো গোলের সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা।

এবার ডি পলের ডান পাশ থেকে বাড়ানো ক্রসে ডি মারিয়ার ডান পায়ের শট চলে যায় গোলবারের অনেক উপর দিয়ে। ম্যাচের ২১ মিনিটের মাথায় ডি মারিয়াকে ডি বক্সের ভেতর ফাউল করে বসেন ডেম্বেলে।

রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দিলেন মেসি। বিশ্বকাপে এটি তার ৬ষ্ঠ গোল। পুরো মাঝমাঠেই যেন ফ্রান্সকে আটকে রাখে আর্জেন্টিনা।

বল দখলে আর্জেন্টিনার ধারে কাছেও ছিল না বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ৩৭ মিনিটে আর্জেন্টিনার দুর্দান্ত কাউন্টার এটাকে খেই হারিয়ে ফেলে ফ্রান্স। মাঝমাঠ থেকে মেসির পাস থেকে আলভারেজ বল পেলে সেটি বাড়ান ম্যাকএলিস্টারের উদ্দেশ্যে,

দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে তিনি বল দেন ডি মারিয়াকে। তিনি আর মিস করলেন না। কোপা আমেরিকার ফাইনাল, ফিনালিসিমার পর আরো একটি ফাইনালে গোল করলেন এই জুভেন্টাস তারকা।

দুই গোলে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধেই জিরু ও ডেম্বেলেকে পাল্টে ফেলেন ফ্রান্স কোচ। তবুও তাদের ভাগ্যের চাকা ফিরেনি। শেষ পর্যন্ত ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *