টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম জিম্বাবুয়ের ম্যাচটি নিয়ে সোশ্যাল সাইটে তুমুল সমালোচনা চলছে। ম্যাচটি প্রায় জিতেই গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
৯ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৭৯ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। জবাবে প্রথম ওভারেই ২৩ রান তুলে নেন কুইন্টন ডি কক। এরপর বৃষ্টি নামলে ৭ ওভারে নতুন টার্গেট দাঁড়ায় ৬৪ রান।
৩ ওভারেই ৫১ রান তুলে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপরই বৃষ্টি নামলে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ মার্ক বাউচারের দাবি, হারের ভয়ে জিম্বাবুয়ে খেলতে চাইছিল না।
আর ক্রিকেট সমর্থকের অধিকাংশের বক্তব্য- ম্যাচ যাতে বৃষ্টিতে ভেসে যায় সেজন্য ইচ্ছাকৃতভাবে সময়ক্ষেপণ করছিল জিম্বাবুয়ে দল। হালকা বৃষ্টি চলছিল। তাই জিম্বাবুয়ে বুঝে যায় যে, পুনরায় বৃষ্টির জন্য ম্যাচ থমকে গেলে খেলা বাতিল হতে বাধ্য।
এমন হলে পয়েন্ট ভাগাভাগি ছাড়া উপায় নেই। মুফতে এক পয়েন্ট পেয়ে গেল জিম্বাবুয়ে। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার কপাল চাপড়ানো ছাড়া উপায় নেই।
তাদেরকে যদি আর একটি ওভারও ব্যাটিংয়ের সুযোগ দেওয়া হতো, তাহলে ম্যাচে ফলাফল আসত বলে বিশ্বাস অনেকের।জিম্বাবুয়ের কোচ ডেভ হটনের কথাতেও প্রমাণিত হয়, তারা খেলতে চাইছিলেন না।
ক্ষোভ প্রকাশ করে হটন বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, বৃষ্টি এত প্রবল ছিল যে তখন খেলা ছিল অসম্ভব। সন্ধ্যা কিংবা রাতের বেশিরভাগ সময়ই ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন। কিন্তু বৃষ্টি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায়, আমরা ডাগআউটের ছাদে শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম।
আমার মনে হয়, তখন আর গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি ছিল না; তখন সময় ছিল মাঠ ছাড়ার। মাঠে আম্পায়াররা এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, আর তারা ভেবেছেন খেলা চালিয়ে যাওয়া যায়। আমি তাদের সঙ্গে একমত নই।
হটনের অভিযোগ, পেসার রিচার্ড এনগারাভা পিচ্ছিল মাঠে পড়ে গিয়ে পায়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ার পরও খেলা বন্ধ করেননি আম্পায়াররা। জিম্বাবুয়ের এই পেসার বিশ্বকাপে আর খেলতে পারবেন কিনা- এখনও নিশ্চিত নয়।
দলের বাকি খেলোয়াড়েরাও খেলার জন্য রাজি ছিল না বলে জানিয়েছে ‘ক্রিকইনফো’। তবে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ডেভ হটন। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ মার্ক বাউচার বলেছেন,
হারের ভাবনায় হয়তো খেলতে অনিচ্ছুক ছিল জিম্বাবুয়ে। বাউচারের ভাষায়, ‘জিম্বাবুয়ে যদি আমাদের অবস্থায় থাকত, তারাও খেলা চালিয়ে যেতে চাইত। আমরাও অনেকটা ভেজা বলে বোলিং করেছি।
খুবই ভালো অবস্থায় ছিলাম আমরা। তারা ম্যাচ ছেড়ে চলে যেতে চাইছিল এই ভেবে যে, তাদের সঙ্গে অন্যায্য আচরণ করা হচ্ছে। আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছু নেই। এটা কর্তৃপক্ষের ব্যাপার। তারাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের সিদ্ধান্ত আমাদের মেনে চলতে হবে।