Breaking News

তাসকিন যেন বিশ্বকাপে তুরুপের তাস

গতি, লাইন-লেন্থ, সুইং- সব মিলিয়ে দারুণ উপভোগ্য বোলিং। গ্যালারিতে শিহরণ তুলে মাঝেমধ্যে চোখ ধাঁধানো দু-একটা বাউন্সারও থাকে। তাসকিন আহমেদের বোলিং রীতিমতো রোমাঞ্চ ছড়াচ্ছে এই টি২০ বিশ্বকাপে।

তিন ম্যাচ খেলে দুটিতেই হয়েছেন ম্যাচসেরা। এই প্রাপ্তির আনন্দের সঙ্গে প্রশংসায় ভাসছেন তাসকিন। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ভাষায় ডানহাতি এ পেসার বাংলাদেশের ফাস্ট বোলিং ইউনিটের নেতা। যিনি কিনা নেতৃত্ব দিচ্ছেন সামনে থেকে।

টানা তিন ম্যাচের ওপেনিং ওভারে ব্রেকথ্রু দেওয়া ম্যাজিক বোলার তিনি। মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, ট্রেন্ট বোল্ট, কাগিসো রাবাদাদের ছাপিয়ে আলোচনায় এখন বাংলাদেশি এ পেসার।

বিশ্বকাপের সেরার আসন নিতে না পারলেও সুপার টোয়েলভের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক তিনি। তিন ম্যাচে এখন ৮ উইকেট তাঁর ঝুলিতে। বিশ্বকাপে গ্রুপের বাকি দুই ম্যাচে একই ছন্দে খেলে যেতে পারলে রেকর্ডটা অন্য উচ্চতা পেতে পারে।

সে অপেক্ষাতেই রয়েছেন তাসকিন। ওমান এবং আমিরাতের টি২০ বিশ্বকাপ থেকেই বোলিং ভালো করছেন তাসকিন। গত বিশ্বকাপের শেষের দিকে কোনো এক সন্ধ্যায় কাগিসো রাবাদা উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে পিঠ চাপড়ে দিয়েছিলেন ২৭ বছর বয়সী এ ফাস্ট বোলারের।

দুবাইয়ের আলো ঝলমলে পাঁচতারা হোটেলের লবিতে বসে সেদিন তাসকিনের বুকে রাবাদা জ্বেলে দিয়েছিলেন বড় বোলার হওয়ার স্বপ্টম্ন দেখার আলো। ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের মতো টি২০ বিশ্বকাপেও বড় লক্ষ্য নিয়ে এসেছেন তাসকিন।

অস্ট্রেলিয়ার স্পোর্টিং কন্ডিশনে ছাপ রেখে যেতে চান বোলিং দিয়ে। গতি দিয়ে ২০১৫ বিশ্বকাপে ঝড় তুলতে পারলেও টি২০ বিশ্বকাপের মতো এতটা ধারাবাহিক ছিলেন না সেবার। তাসকিনের অভিজ্ঞ হাতে এখন গতির সঙ্গে নিশানায় বল ফেলার কৌশল রপ্ত করা।

বোলিং বৈচিত্র্যের সৌন্দর্যও লুক্কায়িত ডেলিভারির পরতে পরতে। যেভাবে সেরা বোলার হওয়ার পথে তাসকিন জানালেন সে গোপন রহস্য, ‘আমি আমার প্রসেসের দিকে ফোকাস করছি। তারই ফল পাচ্ছি। বাংলাদেশে পিচ স্লো।

এখানে শুরুতে মুভমেন্ট থাকে এবং উইকেট থেকে সুবিধা পাওয়া যায়। সেদিক থেকে সব কিছু ভালো যাচ্ছে।’ সাকিবের দেওয়া ‘লিডার’ ভূমিকাও ঠিকঠাক পালন করে যাচ্ছেন তিনি। পুরো পেস বোলিং ইউনিট নিয়েই এখন ভাবেন তিনি, ‘আমাদের খুবই ভালো একটা ফাস্ট বোলিং ইউনিট আছে।

প্রতিনিয়ত উন্নতি করছি। অ্যালান ডোনাল্ড এবং অন্য সাপোর্ট স্টাফরা সাহায্য করছেন। আশা করি আমরা আরও উন্নতি করব।বিশ্বকাপের আগে থেকেই ক্ষুরধার ছিলেন তাসকিন। নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে ছন্দে ফেরার শুরু তাঁর।

বিশ্বকাপে স্পোর্টিং কন্ডিশন পেয়ে কাজে লাগাচ্ছেন ধারাবাহিক বোলিং করে। হোবার্টে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান। ওপেনিং ওভারে জোড়া আঘাতে টালমাটাল হয়েছিল ডাচ ব্যাটিং লাইনআপ।

সে ম্যাচেও প্রয়োজনীয় মুহূর্তে ব্রেকথ্রু দিতে মুন্সিয়ানা দেখান। সিডনিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনিং জুটি ভেঙে ছিলেন প্রথম ওভারে। ব্রিসবেনের গ্যাবায় জিম্বাবুয়ের ওপেনিং জুটিকে কোমর সোজা করে দাঁড়াতে দেননি।

বাউন্ডারি হজম করার পরের বলেই ওয়েসলি মাদেভেরের উইকেট নেন। পরের ওভারেই ক্রেগ আরভিনকে সাজঘরে পাঠান। দুই ওভারের প্রথম স্পেল শেষ করেন ৯ রানে ২ উইকেট নিয়ে।

দ্বিতীয় স্পেলে ফিরেই মেডেন ওভারে শিকার করেন একটি উইকেট। নিজের শেষ ওভারে খরচ করেন ১০ রান। এই তাসকিন যেন বিশ্বকাপে পেস বোলিংয়ের বাজিকর। যাঁর বোলিং দেখে বিমোহিত দর্শক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *