দীর্ঘ বিরতি দিয়ে আবারও মাঠে গড়াচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। পিএসজি-বায়ার্ন হাইভোল্টেজ লড়াই দিয়ে শুরু হচ্ছে রাউন্ড অব সিক্সটিন। পার্ক দ্যা প্রাসে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত দুইটায় শুরু হবে প্রথম লেগের খেলা।
একই সময়ে মাঠে নামবে এসি মিলান। ঘরের মাঠে ইংলিশ প্রতিনিধি টটেনহ্যামকে আতিথ্য দেবে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। তিন মাসেরও বেশি সময় বিরতির পর অবশেষে ফিরছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।
ফিরছে ইউরোপিয়ান ফুটবলে রোমাঞ্চকর রাত। যে রোমাঞ্চ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে পিএসজি-বায়ার্নের হাইভোল্টেজ লড়াই। পিএসজির জন্য ম্যাচটা প্রতিশোধেরও বটে। ২০২০ আসরের ফাইনালে
বাভারিয়ানদের কাছে হেরেই শিরোপা বঞ্চিত হয়েছিল ফরাসিরা। সময়টাও ভালো যাচ্ছে না লা পারিসিয়ানদের। মার্শেইয়ের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে ফ্রেঞ্চ কাপ থেকে। সবশেষ লিগ ম্যাচে মোনাকোর কাছেও হয়েছে বিধ্বস্ত।
পরিসংখ্যানেও দুই দল রয়েছে প্রায় সমপর্যায়ে। এখন পর্যন্ত পিএসজি-বায়ার্ন একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে ১১ বার। যেখানে পিএসজি জিতেছে ছয়টি ম্যাচ আর বায়ার্নের জয় পাঁচটি। দুই দল গোল করেছে সমান ১৫টি করে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে ছয়টি ম্যাচেই জিতেছে বায়ার্ন। ১৮টি গোল করার বিপরীতে হজম করেছে কেবল দুটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এর আগে একবারই আসরে প্রথম সাত ম্যাচে জয়ের রেকর্ড আছে তাদের।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্নের বিপক্ষে ১০টির বেশি ম্যাচ খেলা দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শতাংশ জয়ের রেকর্ড ফরাসি ক্লাব পিএসজির। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের সবশেষ ৩২টি হোম ম্যাচে মাত্র এক ম্যাচে গোল করতে ব্যর্থ হয় পিএসজি।
২০২০-২১ মৌসুমে কোয়ার্টার-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বায়ার্নের বিপক্ষেই ১-০ গোলে হেরেছিল প্যারিসের দলটি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্নের হয়ে মাঠে নেমে ৭৬ শতাংশ ম্যাচ জিতেছেন জসুয়া কিমিখ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৫০টির বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলারদের মধ্যে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে নিজের তিন চতুর্থাংশেরও বেশি ম্যাচে জয় পেয়েছেন জার্মানির এই মিডফিল্ডার।