Breaking News

আর্জেন্টাইন তারকা মার্টিনেজ গোলে ১৩ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে ইন্টার মিলান

একই মাঠ, একবার সেটি হোম ভেন্যু হচ্ছে এসি মিলানের, আরেকবার ইন্টার মিলানের। অন্য লিগগুলোতে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে খেলতে গেলেও ভিন্ন ভিন্ন মাঠে খেলে ক্লাবগুলো। যেমন ম্যানচেস্টার ডার্বি, মাদ্রিদ ডার্বি।

কিন্তু মিলান ডার্বিতে একই মাঠ, সানসিরো। মঙ্গলবার রাতে সানসিরোর স্বাগতিক ক্লাব ছিল ইন্টার মিলান। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে একই মাঠে এসি মিলানের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গোল করলেন

লিওনেল মেসির জাতীয় দলের সতীর্থ লওতারো মার্টিনেজ। তার দুর্দান্ত এই এক গোলেই ১-০ ব্যবধানের জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠে গেলো ইন্টার মিলান। দুই লেগ মিলিয়ে ইন্টারের জয় ৩-০ ব্যবধানে।

গত সপ্তাহে এসি মিলানকে ২-০ গোলে হারিয়েছিলো ইন্টার মিলান। এডিন জেকো এবং হেনরিখ এমখিতারিয়ান করেছিলেন ওই দুই গোল। আগামী ১০ জুন ইস্তাম্বুলে রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে ইন্টার মিলান।

লওতারো মার্টিনেজের সামনে অসাধারণ একটি মুহূর্তের অপেক্ষা করছে। ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে তুলে নেয়ার পর তার সামনে এখন অপেক্ষা, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি হাতে তুলে নেয়ার।

২০০৯-১০ মৌসুমে হোসে মরিনহোর অধীনে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিলো ইন্টার। এরপর এই প্রথম ফাইনালে উঠলো তারা। সব মিলিয়ে ফাইনালে ৬ষ্ঠবার। আগের ৫ ফাইনালের তিনটিই জিতেছিলো তারা।

আগের ম্যাচে ২-০ গোলে জয়ের কারণে ফিরতি লেগে গতকাল ইন্টারকে মনেই হয়নি তারা হেরে যেতে পারে। যে কারণে খুব একটা সিরিয়াসও ছিল না তারা। হয়তো এ কারণেই প্রথমার্ধে গোল আদায় করতে পারেনি।

দ্বিতীয়ার্ধও প্রায় শেষ হতে যাচ্ছিলো গোলশূন্যভাবে। অবশেষে ৭৪তম মিনিটে পোস্টের খুব কাছে বল পেয়ে যান লওতারো মার্টিনেজ এবং দুর্দান্ত এক শটে তিনি সেটা জড়িয়ে দেন এসি মিলানের জালে। ম্যাচের পর মার্টিনেজ বলেন,

‘এই ম্যাচের সঙ্গে অনেক ইতিহাস জড়িত। আমি এটা অনুভব করি। দুই ম্যাচেই আমরা দুর্দান্ত কাজ করেছি। দলের মধ্যে একতা আমাদেরকে খুব অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। বিশ্বকাপেও এই অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

যদি আপনার কাছে ঐক্যবদ্ধ একটি দল থাকে, তাহলে সব কাজ সহজ হয়ে যায়। আমরা ইন্টারমিলানে সেটা দেখিয়েছি এবং এই জয়টা আমাদের প্রাপ্য। এসি মিলানের বিপক্ষে ফিরতি লেগের এই ম্যাচে ইন্টার কোচ সিমোনে ইনজাগি

একাদশে কোনো পরিবর্তনই আনেননি। আগের ম্যাচে যে দলটি খেলেছিলো, সে দলটিকেই মাঠে নামান। এর অর্থ, মার্টিনেজ এবং এডিন জেকো ছিলেন সবার সামনে। যে কারণে ইন্টারের আক্রমণের ধারও ছিল বেশি এবং শেষ

পর্যন্ত গোলও বের করে আনতে সক্ষম হয় তারা। এবারের মৌসুমে চারবার ইন্টার মিলান এবং এসি মিলান মুখোমুখি হয়েছিলো। দুবার সিরি আ’য় এবং দুবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। চারবারই ইন্টারের কাছে হেরেছে এসি মিলান।

শুধু তাই চার ম্যাচে একবারও ইন্টারের জাল খুঁজে পায়নি এসি মিলান। গত ৫০ বছরেও এই ঘটনা ঘটেনি। সর্বশেষ ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে এভাবে টানা চারবার ইন্টারের কাছে হেরেছিলো এসি মিলান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *