রিকি পন্টিংয়ের অধিনায়কত্বে অপরাজেয় অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন ক্যাপ্টেন স্বয়ং। ক্রিকেট খেলার ইতিহাসে অন্যতম সেরা পুলার এবং হুকার ছিলেন রিকি পন্টিং।
সেই রিকির ক্রিকেট ক্যারিয়ারের এক অজানা কাহিনী শোনালেন একদা তাঁর সতীর্থ ব্রেট লি। ২০০০ সালের গোড়ার দিকে অত্যন্ত শক্তিধর ক্রিকেট খেলিয়ে দেশ ছিল অস্ট্রেলিয়া দল। কার্যত সমস্ত বিপক্ষ দলকে সেই সময়ে পর্যুদস্ত করে হারাত অজি ব্রিগেড।
সেই সময় রিকি পন্টিংয়ের অধিনায়কত্বে অপরাজেয় অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন ক্যাপ্টেন স্বয়ং। ক্রিকেট খেলার ইতিহাসে অন্যতম সেরা পুলার এবং হুকার ছিলেন রিকি পন্টিং।
সেই রিকির ক্রিকেট ক্যারিয়ারের এক অজানা কাহিনী শোনালেন একদা তাঁর সতীর্থ ব্রেট লি। নিজের ইউটিউব চ্যানেলেই এই অজানা কাহিনী শুনিয়েছেন ব্রেট লি। তিনি বলেন, ‘যখন প্রথম বার ৯০’র দশকে রিকির আবির্ভাব ঘটে, সে সময় কেউ বুঝতেই পারেনি কার আবির্ভাব হয়েছে।
আমার মনে আছে, ৯৪-৯৫ সালে আমাদেরকে ফিরে যেতে হয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। সেখানে রডনি মার্শের প্রশিক্ষণে আমাদের সময় কেটেছিল। নেটে ক্রিকেটে ১৬০ কিলোমিটার গতিতে ১২টা করে বল খেলতে হত।
আপনি নিশ্চয় ভাবতে পারছেন, আমার মতন ব্যাটার, যারা একেবারেই গ্রেট ব্যাটার ছিল না, তাদের পক্ষে বিষয়টা বেশ কঠিন ছিল। ১৬০ কিমি গতিতে আসা ওই বলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লাগত।
কোনও সময় মাথায় আঘাত লাগত। কোন সময় হেলমেটে। কোন সময় হাতে আঘাত লাগত। ব্রেট লি বলে চলেছিলেন, ‘একটা গুজব ছিল, যখন ৯০’র দশকে ও (রিকি) খেলতে নামত, তখন শুধুমাত্র টুপি পড়ে নামত।
রড মার্শ একবার বলেছিল, তুমি এটা কি করছ! যার উত্তরে রিকি বলেছিল, আমি ব্যাটিং করছি। ১৬০ কিমি গতির বলকে ‘ইনফ্রন্ট অফ দি স্কোয়ার’ দিয়ে একের পর এক শট মারছিল ও।
রড মার্শ যে সেই সময়ে এক অসাধারণ প্রতিভা অন্বেষক ছিলেন। তৎক্ষণাৎ বলে দেন, এই ছেলেটা (রিকি) দীর্ঘ দিন অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের হয়ে খেলবে।