‘সুপারস্টার’ গিল। কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ রান করার রেকর্ড গড়লেন গিল এবং পঞ্চম ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি করেন তিনি।
সেই সাথে ভারতীয়দের মধ্যে ওয়ানডেতে দ্রুততম ১ হাজার রানের মাইলফলকও ছুঁয়েছেন গিল। হায়দ্রাবাদে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ২০৮ রানের ইনিংস খেলেছেন এই ডানহাতি ওপেনিং ব্যাটার।
এছাড়াও আরও একটি রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন গিল। ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে পেরিয়েছেন ১ হাজার রানের গন্ডি। খেলেছেন মাত্র ১৯ ম্যাচ। এর আগে এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন ভিরাট কোহলি।
তিনি খেলেছিলেন ২৪ ম্যাচ। ৪৭ ওভার শেষে গিলের রান ছিল ১৩৭ বলে ১৬৯। কিন্তু ৯ বলের ব্যবধানে ১৪৫ বলে ২০০ রান ছুঁয়ে ফেলেন গিল। মাঝে ৮ বল খেলে ৫ ছক্কা হাঁকান ভারতীয় এই ওপেনার।
১৮২ থেকে লকি ফার্গুসনের মতো ফাস্ট বোলারকে টানা তিন ছক্কায় ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষ পর্যন্ত ১৯ চার ও ৯ ছক্কায় ১৪৯ বলে ২০৮ রান করে আউট হন এই ব্যাটার।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ইশান কিষানের ডাবল সেঞ্চুরির পরও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে তাকে একাদশের বাইরে রেখে গিলের ওপর ভরসা রেখেছিল ভারত। গিল প্রতিদান দিলেন সেই আস্থার।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭০, ২১ ও ১১৬ রানের পর আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি। সবচেয়ে কম বয়সে ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ডে ছাড়িয়ে গেলেন সেই কিষানকেই। গত মাসে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৪ বছর ১৪৫ দিনে দুইশ করে যে রেকর্ড গড়েছিলেন কিষান, তা টিকে রইল মাত্র ৩৮ দিন।
২৩ বছর ১৩২ দিন বয়সে দুইশ করে গিল এখন ওয়ানডের সর্বকনিষ্ঠ ডাবল সেঞ্চুরিয়ান। ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরির সংখ্যা এখন ১০টি। এর মধ্যে ৭টিই ভারতের দখলে। আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গিল ১১৬ রানে আউট হলেও ভিরাট কোহলি অপরাজিত থাকেন ১৬৬ রানে।
ইনিংস শেষে গিল বলেছিলেন, ভিরাট কোহলির মতো ব্যাটারদের কাছে শেখার আছে, কীভাবে সেঞ্চুরিটাকে বড় সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে হয়। তিনি শিখলেন, তিনি দেখালেন।