ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজ সুরু হওয়ার আগে বেশ কিছু রেকর্ডের সামনে ছিলেন সাকিব আল হাসান। একে একে তা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি যদিও দলীয় পরাজয়টা থেকে গেলো বাংলাদেসের।
সিরিজ শুরুর আগে রেকর্ডটি গড়তে সাকিব আল হাসানের দরকার ছিল ৯২ রানের । প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২৯ রানের ইনিংস খেলে সে পথে অনেকটা এগিয়ে যান দেশসেরা এই ক্রিকেটার।
রোববার ডমিনিকার উইন্ডসর পার্কে বাংলাদশের ব্যাটসম্যানরা যখন একে একে আত্মহুতি দিচ্ছিলেন, সেখানে ব্যতিক্রম ছিলেন সাকিব আল হাসান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ব্যাট হাতে ক্রিজে যান সাকিব। লড়াই করেন ইনিংসের শেষ পর্যন্ত।
এতেই তিনি গড়েন ক্রিকেটে নতুন কীর্তি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২০০০ রান পূর্ণ হলো সাকিব আল হাসানের। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এই ক্রিকেটে বল হাতে সাকিবের শিকার ১২০ উইকেট।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২০০০ রান ও ১০০ উইকেটের কৃতিত্ব নেই বিশ্বের আর কোনো ক্রিকেটারের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে ২ হাজার রানের মাইলফলক অতিক্রম করেন সাকিব।
ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ৪৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন সাকিব। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি সাকিবের দশম অর্ধশতক। বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বাধিক ৭টি ফিফটি আছে তামিমের।
ফিফটি পূর্ণ করে পরের বলেই ক্যারিবীয় পেসার ম্যাকয়ের ১৯তম ওভারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ২ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব।
শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৫২ বলে ৬৮ রানে। ক্যারিয়ারে ৯৮ ম্যাচে সাকিবের সংগ্রহ ২০০৫ রান। ফিফটি ১০টি। গড় ২৩.৩০। স্ট্রাইক রেট ১২০.৯৪। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে উইকেট শিকারে সাকিবই শীর্ষে।
৯৮ ম্যাচে তার শিকার ১২০ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে সাকিব ছাড়া তিনজনের রয়েছে ১০০ উইকেটের কৃতিত্ব। তবে তাদের কেউই ব্যাট হাতে পাঁচশোর বেশি রান করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বাধিক ১১১ উইকেটের মালিক টিম সাউদি।
নিউজিল্যান্ডের পেসারের ব্যাট হাতে সংগ্রহ ২৪৯ রান। ১০৯ উইকেটের মালিক আফগান তারকা রশিদ খানের রান ১৮৭। অবসর নেয়া মালিঙ্গা ১০৭ উইকেটের পাশাপাশি রান করেন ১৩৬ । টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের আগে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ২ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
১১৭ ম্যাচে রিয়াদের রান ২০২০। এই তালিকায় বাংলাদেশিদের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ৭৪ ম্যাচে এক সেঞ্চুরি ও ৭টি হাফ সেঞ্চুরিতে এ পর্যন্ত ১৭০১ রান করেছেন তিনি।
২০০৬ সালের নভেম্বরে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় সাকিবের। সাকিবের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস ৮৪ রানের। তার পর থেকে এই রানের কোঠা তিনি এখনো পর্যন্ত অতিক্রম করতে সক্ষম হননি।