Breaking News

৬,৬,৬,৪,৪,৬ কাউন্টিতে আশরাফুলের প্রথম ম্যাচেই ঝড়ো সেঞ্চুরি

আশরাফুল মানেই বাংলাদেশের এক সময়ের সফল এক ব্যাটসম্যান। এবারের  কাউন্টিতে আশরাফুলের প্রথম ম্যাচেই ঝড়ো সেঞ্চুরি। এবার ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকালেন বাংলাদেশের প্রথম সুপারস্টার ও সাবেক টাইগার অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল।

ইংল্যান্ড মাইনর কাউন্টিতে ৮৫ বলে ১০৭ রানের দারুণ এই ইনিংস খেললেন আশরাফুল। এদিকে ইংল্যান্ডের ডার্বিশায়ার কাউন্টিতে এই শতক হাঁকিয়ে আশরাফুল, কাউন্টি মাইনর লিগে নিজের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন।

এর আগে গত ২০০৬ সালে প্রথম মাইনর কাউন্টি খেলেন আশরাফুল। ২০০৬, ২০১২ এবং ২০১৯ সালে মাইনর কাউন্টিতে খেলেছেন আশরাফুল। এবার গত ৭মে ইংল্যান্ডে পাড়ি দেন আশরাফুল।

এদিকে আশরাফুল ছাড়াও ইমরুল কায়েস, আরাফাত সানি, ফরহাদ রেজা, জহুরুল ইসলাম অমি এবং সোহরাওয়ার্দী শুভ কাউন্টিতে খেলতে গেছেন।

আরও পড়ুন: আমরা দেখিয়ে দিলাম ইউরোপের রাজা কারা: কর্তোয়া উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে ন্যুনতম ব্যবধানে জিতে শিরোপা ঘরে তুলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের ৫৯ মিনিটের সময় জালের ঠিকানা খুঁজে নেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র।

সেটিই হয়ে যায় ফল নির্ধারক। তবে ম্যাচের আসল ফল নির্ধারক ছিলেন মূলত গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। পুরো ম্যাচে গোলের জন্য অন্তত ২৪টি শট করেছে লিভারপুল। যার মধ্যে নয়টিই ছিল লক্ষ্য বরাবর।

কিন্তু একটিও টপকাতে পারেনি কর্তোয়ার প্রাচীর। যত জোরালো আক্রমণই করেন না মোহামেদ সালাহ, সাদিও মানেরা- বারবার আটকে গেছেন বেলজিয়ান গোলরক্ষকের সামনে।

এমন অতিমানবীয় পারফরম্যান্সের পর কর্তোয়ার হাতেই উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে মাত্র তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ফাইনালে সেরার পুরস্কার হাতে নিলেন তিনি। এর আগে ২০০১ সালে অলিভার কান ও ২০০৮ সালে ফন ডার সারের ছিল এই কীর্তি।

রিয়ালকে এই সাফল্য এনে দেওয়ার পর নিজের পুরোনো কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন কর্তোয়া। ফাইনালের আগে তিনি বলেছিলেন, রিয়াল ফাইনালে ওঠে জেতার জন্য। আর সেই কথা সত্যি করেছেন নিজের পারফরম্যান্স দিয়েই। তাই তো ম্যাচ শেষে জানালেন, তারাই ইউরোপের রাজা।

কর্তোয়া বলেছেন, ‘অবিশ্বাস্য। এত বছর ধরে এত পরিশ্রম করেছি। সবচেয়ে পছন্দের ক্লাবে এসেছি। যেমনটা বলেছিলাম, রিয়াল ফাইনাল ম্যাচে খেলে জেতার জন্য। এই কথার জন্য অনেক টিপ্পনী শুনেছি। আজ আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, ইউরোপের রাজা কারা!

এসময় নিজের ক্যারিয়ার নিয়েও আক্ষেপের কথা জানান কর্তোয়া। গত বেশ কয়েক বছর ধরে শীর্ষ পর্যায়ে ভালো পারফরম্যান্সের পরও যথাযথ সম্মান পাননি বেলজিয়ান গোলরক্ষক। বিশেষ করে ইংল্যান্ডে খেলার সময় তাকে কেউই অতো ভালো হিসেবে মূল্যায়ন করতো না।

এখন প্রাপ্য সম্মান পাবেন আশা কর্তোয়ার, ‘ক্যারিয়ারে যত পরিশ্রম করেছি, অন্তত একটা (চ্যাম্পিয়নস লিগ) ফাইনাল জেতা দরকার ছিল আমার। সেটি আমার নামের ওপর মানুষের সম্মান ফিরিয়ে আনার জন্যও।

অসাধারণ মৌসুম কাটানোর পরও অনেকবার শুনেছি যে আমি নাকি অত ভালো নই। বিশেষ করে ইংল্যান্ডে এমনটা হয়েছে।’ ফাইনাল জেতায় নিজের অনুভূতি জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি সত্যিই খুব খুশি, গর্বিত।

আমরা (সেমিফাইনাল ও ফাইনালে) বিশ্বের সেরা দুই ক্লাবকে হারিয়েছি। সিটি ও লিভারপুল এই মৌসুমে অবিশ্বাস্য খেলেছে। আজ লিভারপুল অসাধারণ ম্যাচ খেলেছে, কিন্তু আমরা একটা সুযোগ পেয়েছি, সেটিতেই গোল করেছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *