হঠাৎ করে সবকিছু বদলে ফেলতে যাচ্ছি বিসিবির প্রধান, ‘পাপন’। এশিয়া কাপ দরজায় কড়া নাড়ছে। ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে হিসাব করলে আর মাত্র ৮ দিন পর শুরু এশীয় ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের আসর। আরব আমিরাতের শারজায় আগামী ৩০ আগস্ট আফগানিস্তানের সঙ্গে প্রথম ম্যাচটি খেলবে বাংলাদেশ। গ্রুপে টাইগারদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।
১ সেপ্টেম্বর দুবাইতে লঙ্কানদের সঙ্গে দ্বিতীয় ম্যাচ সাকিব বাহিনীর। দুই ম্যাচ শেষে গ্রুপের শীর্ষ দুইয়ে থাকতে পারলেই সুপার ফোরে খেলা নিশ্চিত। সেই লক্ষ্যে আগামী ২৩ আগস্ট রাতে ঢাকা ছাড়বে সাকিবের দল।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পারফরম্যান্স একদমই ভালো হয়নি। ফলও হয়েছে করুণ। এবারও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এসে গেলো। তার আগে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপ। যেখানে গ্রুপপর্বে না হলেও হয়তো সুপার ফোরে ভারত ও পাকিস্তানকে সামলাতে হবে বাংলাদেশকে।
চতুর্থবারের মতো ফাইনালে ওঠা কিংবা এশিয়া কাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী হবে? আজ বৃহস্পতিবার সকালে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপ স্কোয়াডের সদস্যদের অনুশীলন দেখতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে পাপন বলেন
আমরা টি-টোয়েন্টিতে আসলে এতো ভালো দল না। এটাই হলো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। অন্যকিছু না। কে প্রতিপক্ষ, এটা বড় কথা নয়। আমাদের দলটা আসলে অতো শক্তিশালী নয়। কেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে ভালো দল নয়?
আগামীতে এই দল নিয়ে কী করা যায়? তা নিয়েও ভাবছেন বিসিবি সভাপতি। তার অনুভব, টিম বাংলাদেশের মাইন্ডসেট পুরোপুরি পাল্টে ফেলতে হবে। পাপনের ভাষায়, ‘কী করা যায় এটা নিয়ে ভাবতে গিয়ে আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
পুরো মানসিকতা, চিন্তাধারা সবকিছু হঠাৎ করে বদলে ফেলতে চাচ্ছি এই এশিয়া কাপে। সেটা করে আমরা দেখতে চাই নতুন করে শুরু করা যায় কি না। পাপন মনে করেন দুই নিয়মিত ও সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল,
লিটন দাস আর মিডল অর্ডারে নুরুল হাসান সোহানের অনুপস্থিতি টিম বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে। বিসিবি প্রধান বলেন, ‘লিটন দাস, তামিমকে নিশ্চয় রাখতেন ওপরে। এরা দুজনই দলে নেই।
এটা বড় চ্যালেঞ্জ। আবার ধরেন মিডল অর্ডারের নিচের দিকে এসে ফিনিশিংয়ের জন্য ধরেন সোহান, এবার নেই (ফিটনেস সাপেক্ষে)। এশিয়া কাপকে বিশ্বকাপের পর বড় আসর হিসেবে অভিহিত করে পাপন বলেন এশিয়া কাপ কিন্তু হালকা কিছু নয়।
ওয়ার্ল্ড কাপের পরেই এটা। কথায় পরিষ্কার বিসিবি প্রধান এশিয়া কাপ থেকেই মূলত বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে চান। তাই মুখে এমন কথা গত বিশ্বকাপে আমাদের পারফরম্যান্স তো খুবই খারাপ ছিল। হঠাৎ করে এটা থেকে বের হতে পারবো কি না জানি না।
আমাদের মাথার মধ্যে যদি ওই চিন্তাধারাটা না থাকে আমরা উন্নতি করতে চাই এবং সেটা যদি এশিয়া কাপ থেকেই শুরু করতে না পারি তাহলে বিশ্বকাপে গিয়ে আরও খারাপ অবস্থা হবে। সেজন্য আমরা একটা আমূল পরিবর্তনের চেষ্টা করছি।