Breaking News

সুযোগ পেলে টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসার প্রমাণ দেবেন, ‘এনামুল হক বিজয়’

চলতি সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে সুযোগ পেলে টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি যে ভালোবাসা তা প্রমাণ করতে চান এনামুল হক বিজয়।এ বছরের শুরু থেকেই এক প্রকার ব্যর্থ বাংলাদেশ দলের টপঅর্ডার।

বিচ্ছিন্নভাবে দুই-একজন ভালো ইনিংস খেললেও, বাকিদের তেমন ভালো শুরু পাচ্ছে না বাংলাদেশ। এর আগে সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও দেখা গেছে অভিন্ন চিত্র।

দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয় কিছু ভালো ইনিংস খেলেছেন। কিন্তু তিন ও চারে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল  একেবারেই ব্যর্থ।

তাই এবার উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে এনামুল হক বিজয়ের টেস্ট প্রত্যাবর্তনের। দ্বিতীয় টেস্টেই হয়তো টপঅর্ডারে দেখা যেতে পারে বিজয়কে।

সবশেষ ২০১৪ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই টেস্ট ক্রিকেট খেলেছিলেন এনামুল বিজয়। প্রায় আট বছর পর আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই হতে পারে তার প্রত্যাবর্তন।

শুক্রবারের ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে বিজয়কে দেখা গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। আর সেই সুযোগ পেলে তা কাজে লাগিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি নিজের ভালোবাসার প্রমাণ দিতে চান বিজয়।

প্রাথমিকভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে শুধু ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ডাক পেলেও, দ্বিতীয় টেস্টের জন্য তাকে দলে নিয়েছে বাংলাদেশ। সবসময় টেস্টের জন্য আলাদা টান ছিল বলে জানালেন ২৯ বছর বয়সী এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

বিসিবির এক  দেওয়া এক ভিডিও বার্তাতে বিজয় বলেছেন, ‘এটি সত্যি যে আমি সাদা বলে ডাক পেয়েছিলাম, সাদা বলেই অনুশীলন করছিলাম কিন্তু মাথার মধ্যে সবসময় আমি নিজেও কয়েকবার বলেছি এবং বিশ্বাস করি যে, টেস্ট ক্রিকেটকে অনেক বেশি ভালোবাসি।

এটা আমার ভেতরে অনেক বেশি প্যাশন কাজ করে। তিনি আরও যোগ করেন, ‘যখন সুযোগ পাবো আমি অবশ্যই প্রমাণের চেষ্টা করবো।

যেহেতু আট বছর পর ডাক পেয়েছি টেস্টে, এটা আমার জন্য বড় সুযোগ। এখন প্রমাণ করতে হবে যে এটা আমি আসলে অনেক পছন্দ করি, আসলেই ভালোবাসি।

এসময় টপঅর্ডারের সাম্প্রতিক ব্যর্থতার সমাধানের ব্যপারে ভাবনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আসলে আমি ভাবছি, যদি সুযোগ পাই, সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করবো যেন ভালো একটা সংগ্রহ স্কোরবোর্ডে দিতে পারি।

এখানে গুরুত্বপূর্ণ হলো শুরুতে ভালো স্কোর দাঁড় করানো। যে-ই খেলি না কেনো। সব কিছু ঠিক থাকেল আগামী শুক্রবার শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট এই টেস্টেই ব্যর্থদের প্রমান করার শেষ সুযোগ বলে ধারনা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *