Breaking News

সিকান্দার রাজার সেঞ্চুরির পরও শেষ মুহূর্তে হাড্ডাহাড্ডি লড়ায়ে ভারতের জয়

প্রথম দুই ম্যাচ হেরে এমনিতেই সিরিজ হারিয়ে ফেলেছিল স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। শেষ ম্যাচটায় তাদের লক্ষ্য ছিল একটি জয় অন্তত পেলে, নিজেদের মাটিতে মান-সম্মানটা রক্ষা হবে। সে সঙ্গে ভারতকে হারানোর মত গৌরবেরও অধিকারী হবে।

সে লক্ষ্যে ভালোই এগিয়ে চলছিল জিম্বাবুয়ে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৮৯ রান করেছিল ভারত। ২৯০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে জয়ের একোবরে দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আবেশ খান আর শার্দুল ঠাকুরের বিধ্বংসী বোলিংয়ে তীরে এসে তরি ডোবাতে হয় জিম্বাবুয়েকে।

শেষ ১৩ বলে প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। হাতে তখনও ৩ উইকেট। উইকেটে সেঞ্চুরিয়ান সিকান্দার রাজা এবং মারমুখি ব্যাটিং করা ব্রাড ইভান্স। কিন্তু ১৬৯ থেকে ১৭৬- এই সাত রানে ৩ উইকেট হারিয়েই সর্বনাশটা করে ফেলে জিম্বাবুয়ে।

শেষ পর্যন্ত ১৩ রানে হেরে যেতে হয় স্বাগতিকদের। ১১৫ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস খেলেও শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলেন না সিকান্দা রাজা। বরং তার আউটের মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের জয়ের সম্ভাবনা।

হারারেতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুভমান গিলের সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রান সংগ্রহ করে ভারত। ১৩০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন গিল। ৯৭ বলে খেলা ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৫টি বাউন্ডারি এবং একটি ছক্কায়।

ইশান কিশান করেন ৫০ রান। শিখর ধাওয়ান ৪০ এবং লোকেশ রাহুল করেন ৩০ রান। জিম্বাবুয়ে বোলারদের মধ্যে ব্রাড ইভান্স একাই নেন ৫ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন ভিক্টর এনইউচি এবং লুক জংউই। জবাব দিতে নেমে সেঞ্চুরি করেন সিকান্দার রাজাও।

৯৫ বলে ১১৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শন উইলিয়ামস খেলেন ৪৫ রানের ইনিংস। শেষ দিকে ব্রাড ইভান্স করেন ২৮ রান। শেষ পর্যন্ত ৪৯.৩ ওভারে ২৭৬ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিলো ভারত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *