Breaking News

সিকান্দার রাজার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচেই জয় জিম্বাবুয়ের

সিকান্দার রাজা ব্যাট হাতে যেমন দুর্বার ছিলেন, তেমনি বল হাতেও ছিলেন কার্যকরি। ৮২ রান করার পর ৩ ওভার বল করে ২২ রান দিয়েও নিয়েছেন ১ উইকেট।

তার এই দুর্দান্ত অলরাউন্ড নৈপূন্যের ওপর ভিত্তি করে ৩১ রানের দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে, সে সঙ্গে বিশ্বকাপেও শুভ সূচনা করেছে তারা। যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি দেখে, গত বিশ্বকাপে খেলতে পারেনি জিম্বাবুয়ে।

এবার বাছাই পর্বে খেলে তবেই অস্ট্রেলিয়ার টিকিট কেটেছে জিম্বাবুইয়ানরা। তবে, টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের খেলায় বেশ কিছুদিন ধরে উন্নতি দেখা যাচ্ছে জিম্বাবুয়ের। বিশেষ করে সিকান্দার রাজা।

একাই যেন এক‘শ হয়ে উঠছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজে দুর্দান্ত ব্যাটিং-বোলিং করেছেন। ওয়ানডেতে তো সেঞ্চুরিও করেছেন টানা দুটি। এমনকি ভারতের বিপক্ষেও সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছিলেন টানা দুটি হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস। এবার তো বিশ্বকাপের মঞ্চে এসেই নিজের জাত চেনালেন তিনি। মূলতঃ সিকান্দার রাজার ৪৮ বলে ৮২ রানের ওপর ভর করেই ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে।

জবাব দিতে নেমে ৯ উইকেটে ১৪৩ রানে থেমে গেছে আয়ারল্যান্ড। ফলে ৩১ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জিম্বাবুইয়ানরা। ১৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জিম্বাবুয়ে বোলারদের তোপের মুখে পড়ে আইরিশ ব্যাটাররা।

ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই অভিজ্ঞ পল স্টার্লিংয়ের উইকেট হারিয়ে বসে আয়ারল্যান্ড। অ্যান্ডি বালবিরনি ৪ বল খেলে আউট হয়ে যান ৩ রান করে। লরকান টাকার ১১ বলে করেন ১১ রান।

হ্যারি টেকক্টর ৪ বল খেলে আউট হয়ে যান ১ রান করে। ২২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে মোটামুটি ঘুঁকতে থাকে আইরিশরা। মিডল অর্ডারে এসে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে আয়ারল্যান্ড।

কার্টিস ক্যাম্পার ২৭, জর্জ ডকরেল ২৪ এবং গ্যারেথ ডেলানি করেন ২৪ রান। শেষ দিকে ব্যারি ম্যাকার্থি ১৬ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থেমে যায় আইরিশরা।

জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ব্লেসিং মুজারাবানি। ২টি করে উইকেট নেন রিচার্ড এনগারাভা, টেন্ডাই চাতারা। ১টি করে উইকেট নেন শন উইলিয়ামস এবং সিকান্দার রাজা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *