সাকিব-তামিম ভাই বাংলাদেশ ক্রিকেটের অভিভাবক ছিলেন। আসন্ন জিম্বাবুয়ে সফরের জন্য তারুণ্যনির্ভর টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। যেখানে নেই বহুল আলোচিত পঞ্চপান্ডবের কেউ।
এরই মধ্যে অবসর নিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা ও তামিম ইকবাল, ছুটি নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমকে বোর্ডই দিয়েছে বিশ্রাম।
সিনিয়র খেলোয়াড়রা না থাকাকে বাড়তি চাপ হিসেবে মানতে রাজি নন দলের স্পিনিং অলরাউন্ডার শেখ মেহেদি হাসান। তার মতে, এতোদিন দলের অভিভাবক হিসেবে ছিলেন সাকিব-তামিমরা।
তাদের অনুপস্থিতিতে এখন থেকে তরুণরা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নেবেন। মঙ্গলবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমে মেহেদি বলেছেন, ‘পরিবারে যখন ছোট থাকেন, তখন বেড়ে ওঠার জন্য বাবা-মাই সব দায়িত্ব নেন।
প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেন। এই সিরিজ থেকে নিজেরা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে পারবো, যেহেতু সিনিয়ররা নেই। তারা এতদিন বাংলাদেশের ক্রিকেটের মা-বাবা ছিলেন বা অভিভাবক হিসেবে ছিলেন।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘প্রমাণ করার আসলে কিছুই নেই। একটা সময় সিনিয়র ক্রিকেটাররা থাকবেন না। আমাদের ব্যাচ থেকে অনেকেই সিনিয়র হয়ে যাবে। সাকিব-তামিম ভাইরাও একসময় জুনিয়র ছিলেন।
২০১১ বিশ্বকাপে সাকিব ভাই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তখন তার বয়স ছিল ২২ বছর। ওখান থেকে খেলতে খেলতে এই পর্যায়ে এসেছেন। এখন যে তরুণ দল আছে, সময় লাগবে। উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহানকে সব সিনিয়র খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছে ।
এছাড়া দলে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় বলতে রয়েছেন এনামুল হক বিজয়, লিটন দাস, তাসকিন আহমেদ মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজরা। যারা মোটামুটি ৭-৮ বছর ধরে জাতীয় দলে খেলছেন।
এছাড়াও শেখ মেহেদি, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আফিফ হোসেন ধ্রুব, নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলামরাও গড়পড়তা ২-৩ বছর ধরে খেলছেন আন্তর্জাতিক মঞ্চে।
তাই জিম্বাবুয়ে সফরের টি-টোয়েন্টি দলকে পুরোপুরি নতুন মানতে নারাজ শেখ মেহেদি। তার ভাষ্য এই দলে একদমই তরুণ কেউ না। সবাই ৩-৪-৫ বছর খেলে ফেলেছে। দশ বছর খেলা কেউ নেই। তবে ৬-৭-৮ বছর খেলা খেলোয়াড় আছে।
তাই বেশিরভাগই তরুণ না। তরুণ বলতে মুনিম শাহরিয়ার ও পারভেজ ইমন যারা একদমই নতুন। সবাই পরিপক্ব, মোটামুটি অভিজ্ঞ। সবার বোঝার সামর্থ্য আছে, সবাই সামর্থ্যবান।