সাংবাদিকদের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জালাল ইউনুস বলেন কে বলেছে সাকিব ওয়েস্ট ইন্ডিজে অ্যাভেইলেবল না। সাকিব আল হাসান ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে শুধু টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি খেলবেন, ওয়ানডে সিরিজ নাও খেলতে পারেন।
এমন একটি গুঞ্জন ক্রিকেট পাড়ায় কয়েকদিন আগে থেকেই চাউর হয়ে আছে। যদিও, এরই মধ্যে জাগো নিউজের পাঠকদের জানানো হয়েছে, সাকিব ওয়ানডে সিরিজ খেলবেন না- এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেই।
সাকিব তিন ফরম্যাটের সিরিজেই অ্যাভেইলেবল। তবুও, আজ মিরপুরে সাংবাদিকদের কাছ থেকে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস মুখোমুখি হলেন সাকিব বিষয়ক প্রশ্নের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়ানডে সিরিজে অ্যাভেইলেবল কি না এ প্রশ্নের জবাবে খানিকটা ক্ষেপেই গেলেন জালাল ইউনুস। তিনি বলেন, ‘আপনারা কোথায় পেয়েছেন (সাকিবের ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়ানডে সিরিজ খেলবে না- এই সংবাদ) আমি জানি না।
সে (সাকিব) বলেছে – আমি এভেইলেবল। তাকে জিজ্ঞেস করেন যদি, সে বলেছে, আমি অবশ্যই আছি। টি-টোয়েন্টিও খেলবো, ওয়ানডেও খেলবো। এজন্যই তার নাম লেখা হয়েছে। এটা তো আপনারাও প্রশ্ন করেছেন তাকে। সে কী বলেছে? সে খেলতে চাইছে। পরেরটা পরে দেখা যাবে।
টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকের সঙ্গে আলোচনায় বসছে বিসিবি। ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস কথা বলেছেন। বিসিবি সভাপতিও আলোচনা করেছেন। আরও আলোচনা বাকি আছে বলে জানালেন জালাল।
তিনি বলেন, ‘এটাও সভাপতি সাহেব কিছু দিন আগে পরিস্কার করেছেন। মুমিনুলের সাথে শুধু আমরাই না, সভাপতি সাহেবও বসবেন। উনি বসেছিলেন, তার সাথে কথা হয়েছে। তার সাথে হয়ত আরেকটু কথা বলা বাকি আছে।
উনি দেশের বাইরে বলে এই সময়ে সম্ভব হচ্ছে না। আসার পর বসবেন। জালালও মনে করছেন, রানে না থাকার কারণে মুমিনুলের ওপর অধিনায়কত্বও একটা চাপ তৈরি করেছে। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, হ্যাঁ। অধিনায়কত্ব একটা বাড়তি চাপ।
অধিনায়ক হয়ে যখন রান করতে পারছে না তখন কারও পরামর্শ চাইতে হয়ত ইতস্তত বোধ করছে। একটা হীনমন্যতা থাকতে পারে। তখন চাপটা বেশি হয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়তে পারে। কোনটা হলে ভালো হয় সে সিদ্ধান্ত নিলে ভালো।
বিসিবিতে ৩২ স্পিনার নিয়ে বিশেষ ক্যাম্প শুরু করেছেন কোচ রঙ্গনা হেরাথ। আবার স্থানীয় কোচদের নিয়েও স্পেশালি কাজ শুরু করেছেন জেমি সিডন্স। সে কর্মকাণ্ড নিয়ে জালাল ইউনুস বলেন, ‘এটা আগেই পরিকল্পনা ছিল।
হেরাথ ওয়েস্ট ইন্ডিজে যেতে পারছে না তার একটা ব্যক্তিগত কাজের জন্য। ওকে অস্ট্রেলিয়া যেতে হবে, সেখানে থাকতে হবে। ইমিগ্রেশনের একটা ব্যাপার আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেতে পারছে না বলে বলেছে আমি এখানে কিছু দিন সময় দিব।
এই সময়টা আমরা কাজে লাগাতে চাচ্ছিলাম। খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে স্পিন ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা। সেটা তাকে দিয়েই করেছি। সিডন্সও অ্যাভেইলেবল ছিল। ও এখান থেকে সরাসরি ইংল্যান্ড হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাবে।
আগেই পরিকল্পনা ছিল তাদের দিয়ে কাজ করানোর জন্য। কোচদের নিয়ে এই ক্যাম্প দিয়ে কোনো উপকার হবে কি না তা নিয়ে জালাল ইউনুস বলেন, ‘উপকার তো অবশ্যই হবে। সবচেয়ে বড় সমস্যা এমন প্রোগ্রামের শিডিউল বের করা।
জাতীয় দলের একটার পর একটা সিরিজ আছে। সময় বের করা খুব কঠিন। আমরা তো চাই যারা আছে কোচরা তারা স্থানীয় খেলোয়াড়-কোচদের নিয়ে কাজ করুক। সময় বের করা কঠিন হয়ে যায়।