সাকিবকে আর বোলিং না দেওয়াই একাধিক প্রশ্ন উঠেছে মাহমুদউল্লাহর বিরুদ্ধে। সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই উইকেট তুলে নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ওই ওভারে মাত্র ৪ রান খরচ করে এক উইকেট নিয়েছিলেন।
কিন্তু এরপর ১৭তম ওভারের আগে সাকিবকে বোলিংয়েই আনেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, কারণ মাঠে তখন ছিল দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। শেষ ম্যাচে দলের সেরা বোলারকে কেন ব্যবহার করা হলো না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হারের পর আলোচনা হচ্ছে মাহমুদউল্লাহর অধিনায়কত্ব নিয়েও। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে লিটনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, সাকিবকে কেন মাঝের ওভারগুলোতে আনা হয়নি? বাঁহাতি-ডানহাতি থিওরি কি শুধুই বাংলাদেশ দলের জন্য? লিটন দাস বললেন, মাঠের সব সিদ্ধান্ত অধিনায়কের।
বাকিদের উচিত অধিনায়কের ওপর আস্থা রাখা। ‘ম্যাচ জিতলে এসব নিয়ে প্রশ্ন উঠত না’ ঢাল হিসেবে এই কথাও বলেছেন লিটন। ইনিংসের শেষ দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ব্যাটিং করছিলেন দুই বাঁহাতি ব্যাটার নিকোলাস পুরান ও কাইল মেয়ার্স।
সেই কারণেই বাঁহাতি বোলার সাকিবকে বোলিং দিতে চাননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু এমন নীতির কারণে অতীতেও সমালোচনা কম হয়নি। কারণ বিশ্বের অন্য দলগুলো এই নীতি মানে কমই।
ডানহাতি–বাঁহাতি প্রসঙ্গে লিটনের ভাষ্যে, ‘অনেক সময় ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে যদি ডানহাতি বোলারও বল করে, সমস্যা হয় না। তবে সিদ্ধান্তটা সম্পূর্ণ অধিনায়কের। মাঠ তো আমি চালাব না বা আর দশটা খেলোয়াড় চালাবে না।
আমাদের উচিত ওনার (অধিনায়কের) যে সিদ্ধান্ত, সে অনুযায়ী কাজ করা। সিদ্ধান্তটাতে ভালো কিছু হলে হয়তো প্রশ্নটা আসত না। সাকিবের বদলে উইন্ডিজদের বিপক্ষে ম্যাচে ডানহাতি স্পিনার হিসেবে মোসাদ্দেক হোসেন, আফিফ ও মাহমুদউল্লাহ নিজে বোলিং করেন।
তারমধ্যে আফিফ একটি উইকেট তুলে নিতে পারেন। তাও ডানহাতি ব্যাটসম্যান রোভম্যান পাওয়েলের। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের উইকেট না নিয়ে এই তিন ডানহাতি স্পিনার বরং ৫ ওভার ২ বলে রান দিয়েছেন ৫১ রান।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সেরা বোলার সাকিব আল হাসান। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১২১ উইকেট আছে সাকিবের নামের পাশে।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত বাঁহাতিদের বিপক্ষে বোলিং করে ১৫০ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব। রান ও করেছেন ২০০০ এর বেশি নিঃসন্দেহে অভিজ্ঞতার সবার উপরে তিনি অথচ তাকে বোলিং না দেয়াটা একটু বিস্ময়কর বটে।