Breaking News

সরিষার তেলের উপকারিতা ব্যাথা কমায়, নিদ্রাহীনতা ও হৃদরোগ প্রতিরোধক !

আমাদের বাঙালিদের কিছু কিছু নিত্য ব্যবহার্য দ্রব্যাদি রয়েছে যেগুলো আমাদের ঘর বা রান্নাঘরের সাথে অঙ্গাঙ্গিকভাবে জড়িত। বিভিন্ন আঞ্চলিক সুস্বাদু খাবার তৈরিতে কেবল এগুলি অপরিহার্য নয়, তাদের ব্যবহার বহুগুণে এবং রান্নাঘরের সীমানার বাইরেও প্রসারিত। সরিষার তেল তাদের মধ্যে অন্যতম।ওমেগা আলফা ৩ ও ওমেগা আলফা ৬ ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন ই ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস হওয়ায় সরিষার তেলকে স্বাস্থ্যকর তেল বলা হয়। এর ঔষধি গুণাগুণের জন্য প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে এই তেল। ত্বক, চুল ও স্বাস্থ্যের জন্য সরিষার তেলের অসাধারণ উপকারী। সরিষা তেল শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় যা হৃদরোগের আশঙ্কা কমায়। নিদ্রাহীনতা ও ক্যান্সার প্রতিরোধক। শরীরে ব্যথা কমায়। শ্বাসকষ্টের প্রদাহ হ্রাস করে।

রক্ত সঞ্চালন, হজম প্রক্রিয়া এবং হরমোন নিঃসরণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। সরিষার তেল আপনার শরীরের পাচক রস নিঃসরণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে ক্ষুধা বাড়ে।সরিষা তেল চুলকে ঝলমলে করে তোলে, খুশকি দূর করে এবং চুল বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সরিয়া তেল চুল এবং মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন। এটি চুল পাকা রোধ করবে। সরিষা তেলে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন আছে। এটি নিয়মিত মাথার তালুতে ম্যাসাজ করার ফলে নিয়মিত নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। ত্বকের কালো দাগ দূর করতে সরিষার তেল অনেক কার্যকরী।সরিষা তেল মাথা ব্যথা কমায়। শুষ্ক ত্বক মসৃণ ও কোমল করে। ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে এবং ত্বকের প্রদাহ দূর করে। শীতের সময় সরিষার তৈল মাখলে ত্বক সুন্দর থাকে। পোকামাকড় সরিষার তেল সহ্য করতে পারে না।

এই তেল ব্যবহার করে পোকামাকড় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে সরিষা তেল। নাকের বদ্ধভাব দূর করে। কানের ব্যথায় কানের ড্রপের বিকল্প।সামান্য কাটা ছেঁড়ায় অ্যান্টিসেপটিকের কাজ করে। নিয়মিত এই তেল মালিশ করলে বাতের ব্যথায় উপকার পাওয়া যায়। দাঁত মজবুত করে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে সরিষা তেল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *