Breaking News

শীতের সবজি পুঁইশাকের উপকারিতা জেনে রাখুন !

সবুজ শাকসবজিতে তাহেক ক্লোরোফিল তার মধ্যে পুঁইশাক আমাদের দেশের জনপ্রিয় এবং বেশ সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি শাক। সবজি বাজারে প্রায় সারবছরই পুঁইশাকের দেখা পাওয়া যায়। এই শাক নানাভাবে রান্না বা ভাজি করে খাওয়া যায়। ইলিশ-পুঁই ও চিংড়ি-পুঁই অনেকের অতি প্রিয় তরকারি। সবুজ ও লাল-এই দুই রঙের হয়ে থাকে পুঁইশাক। পুঁইশাকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘বি`, ‘সি` ও ‘এ` পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং আয়রণ আছে। নানা ধরনের ভিটামিন সমৃদ্ধ এই শাকটি একদিকে যেমন বহুবিধ রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে, অন্যদিকে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সহজলভ্য বলে এই শাক কম-বেশি সবার কাছে প্রিয়।

পুঁইশাকের পুষ্টিগুণের কারণে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতাও রয়েছে। আসুন এবার জেনে নিই পুঁই শাকের উপকারিতা সম্পর্কে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।পুঁইশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, দেহের বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে বাইরে যেতে সাহায্য করে।পুঁইশাকে বিদ্যমান ভিটামিন এ এবং সি, যা ত্বকের রোগজীবাণু দূর করে, শারীরিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখে সেই সাথে চুলকেও মজবুত রাখে।নিয়মিত পুঁইশাক খেলে পাইলস, ফিস্টুলা ও হেমোরয়েড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে খুবই কম।পুঁইশাকে প্রচুর পরিমাণ আঁশ বা ফাইবার থাকে যা পাকস্থলী ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে।যারা ব্রণের সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য পুঁইশাক খুব ভালো।

পুষ্টিগুণ বেশি থাকায় এই শাক রোগ প্রতিরোধে বেশ কাজ করে থাকে।পুঁইশাক দেহ থেকে সঠিক ভাবে বর্জ্য নিষ্কাশন করে বদহজম, গ্যাস, অ্যাসিডিটিসহ নানা সমস্যা দূর করে।পুঁইশাকের আছে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণ। শরীরের কোনো অংশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ফুলে গেলে পুঁইশাকের শিকড় বেটে লাগালে দ্রুত উপশম হয়।শরীরে খোসপাঁচড়া কিংবা ফোড়ার মতো অনাবশ্যক সংক্রমণের বিরুদ্ধেও লড়তে পারদর্শী পুঁইশাক।পুঁইশাকে থাকে ম্যাগনেসিয়াম। এটি এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে। পুঁইশাকে থাকে ফোলেট। এটি এনার্জির উৎস। এটি খাবারকে এনার্জিতে রূপান্তরিত করে। তাছাড়া পুঁইশাক হল ন্যাচারাল অ্যালকালাইন। এই উপাদান আমাদের তরতাজা, এনার্জেটিক রাখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *