লর্ডসে রাবাদার বোলিং তোপে ইংল্যান্ডকে তিন দিনেই ইনিংস হারের লজ্জা দিল দ.আফ্রিকা। টেস্ট ক্রিকেটে ‘নতুন ইংল্যান্ডের’ দম্ভচূর্ণ করল দক্ষিণ আফ্রিকা। বেন স্টোকসের নেতৃত্ব আর ব্রেন্ডন ম্যাককালামের কোচিংয়ে সাদা পোশাকের উড়ন্ত ইংল্যান্ডকে মাটিতে আছড়ে ফেলল প্রোটিয়ারা।
ক্রিকেট-তীর্থ লর্ডসে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে স্বাগতিকদের ইনিংস এবং ১২ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল আফ্রিকার দেশটি। টেস্ট দলের খোলনলচে বদলে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড এবং ভারতকে ডুবিয়ে স্টোকস-ম্যাককালামের নতুন ইংল্যান্ডের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকা যেন ইংল্যান্ডকে যেন আবার সেই জো রুটের অধিনায়কত্বের শেষ সময়টায় ফিরিয়ে নিয়ে গেল। লর্ডসে টস জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
তবে কাহিসো রাবাদা-আনরিখ নরকিয়াদের বোলিং তোপে প্রথম ইনিংসে ১৬৫ রানের বেশি তুলতে পারেনি ইংল্যান্ড। স্বাগতিকদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে অনেকটা একাই লড়াই চালিয়ে দলীয় সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেছিলেন ইংল্যান্ডের ওলি পোপ।
১৯ ওভার বোলিং করে ৫২ রান খরচায় পাঁচ উইকেট পান রাবাদা, আর নরকিয়া এবং মার্কো ইয়ানসেন যথাক্রমে ৩টি এবং ২টি উইকেট তুলে নেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩২৬ রান তোলতে সক্ষম হয় ফলে লিড পায় ১৬১ রানের।
তাদের পক্ষে দলীয় সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন সারেল এরউই। এছাড়া চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন অধিনায়ক ডিন এলগার (৪৭), ইয়ানসেন (৪৮) এবং কেশব মহারাজ (৪১)। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট তুলে নেন স্টুয়ার্ট ব্রড এবং স্টোকস।
১৬১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামেন ইংলিশ। তবে প্রথম ইনিংসের মতো ফের প্রোটিয়াদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেন স্টোকসরা। মাত্র ৩৭.৪ ওভারে ১৪৯ রানেই অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা।
তাতে লর্ডসে মাত্র তিন দিনে ইনিংস এবং ১২ রানে টেস্ট হারের সম্মুখীন হতে হয়েছে তাদের। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকারের পর দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ২ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন প্রোটিয়া পেসার রাবাদা।