লখনৌকে বিদায় করে ব্যাঙ্গালুরু শ্বাসরুদ্ধকর জয়, রজতের ঝড়ো সেঞ্চুরি। শুরুতে অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসিকে শূন্য রানে ফিরিয়ে দিয়ে যে উল্লাস করেছিল লখনৌ সুপার জায়ান্টস, সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেয়নি বিরাট কোহলি এবং রজত পাতিদার।
এই দু’জনের ৬৬ রানের জুটির ওপর ভর করে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ওঠে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। এরপর, অন্যদের বড় কোনো ইনিংস হয়নি; কিন্তু একা এক রজত পাতিদারই পার্থক্য গড়ে দিলেন।
প্রায় ২৯ বছর বয়সী মধ্য প্রদেশের এই ব্যাটারের ব্যাটে এদিন যেন আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের দৈত্য ভর করেছিল। লখনৌয়ের বোলারদের বেদম মার দিলেন। ৫৪ বল খেলে একাই করলেন ১১২ রান।
রজত পাতিদার নামে কোনো ব্যাটার আছেন, এতদিন হয়তো অনেকেই জানতেন না। কিন্তু আজ ইডেন গার্ডেনে সেঞ্চুরি করে সেই পরিচিতিটা এনে দিলেন তিনি।
রজতের ব্যাটে ভর করে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের সামনে ২০৮ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন রজত। ১২টি বাউন্ডারির মার মারেন তিনি।
ছক্কার মার মারেন ৭টি। ৫৪ বলে ২০৭.৪০ স্ট্রাইকরেটে ১১২ রানের বিশাল ইনিংস খেলেন তিনি। টস জিতে ব্যাঙ্গালুরুকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান লখনৌ অধিনায়ক লোকেশ রাহুল।
ব্যাট করতে নেমে বোলার মহসিন খান অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করেন। ডু প্লেসিকে শূন্য রানে ফিরিয়ে দেন। এরপর কোহলি আর পাতিদার মিলে ৬৬ রানের জুটি গড়েন।
২৪ বলে ২৫ রান করে আউট হন কোহলি। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১০ বলে করেন ৯ রান। মহিপাল লমরর ৯ বলে করেন ১৪ রান। এরপর দিনেশ কার্তিক ২৩ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।
তিনি ৫টি বাউন্ডারি এবং একটি ছক্কার মার মারেন।