Breaking News

রোনালদোকে বেঞ্চে বসিয়ে রাখার খেসারত গুনলো পর্তুগাল!

শেষটা আরও সুন্দর হতে পারতো। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মুখে থাকতে পারতো ভুবনবিজয়ী হাসি। সেই রোনালদো বিদায় নিলেন একরাশ হতাশা নিয়ে, চোখ মুছতে মুছতে। রোনালদোর কান্নার মধ্যেও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশটা ঢেকে গেলো না।

সবার আগে মাঠ ছেড়ে চলে গেলেন ড্রেসিংরুমে। সতীর্থদের সঙ্গে দাঁড়ালেন না এক মুহূর্ত। তাকে বলা হয় পর্তুগিজ যুবরাজ। দেশের হয়ে খেলেছেন সবচেয়ে বেশি, ১৯৬টি ম্যাচ। এখনও পর্যন্ত গোল করেছেন ১১৮টি।

লুইস ফিগোদের সোনালি প্রজন্ম যেটা পারেননি পর্তুগালকে সেটা উপহার দিয়েছেন তিনি। ২০১৬ সালে জিতিয়েছেন ইউরোর মুকুট। ২০০৪ সালেও ইউরোর ফাইনাল খেলেছিলো পর্তুগাল।

এই রোনালদো নিজের শেষ বিশ্বকাপে দলের মধ্যমণি থাকবেন, এমনটাই ভেবেছিলেন সবাই। কিন্তু কোচ ফার্নান্দো সান্তোস তেমনটা ভাবেননি। ৩৭ পেরুনো রোনালদো পুরো ৯০ মিনিট খেলার যোগ্য নন, কোচের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল এমন।

গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ৬৫ মিনিটের মাথায় রোনালদোকে তুলে নেন কোচ। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী তারকা। ক্যামেরায় সে সময় রোনালদোকে বলতে শোনা যায়,

‘আমাকে তুলে নিতে তার তর সইছে না। পর্তুগিজ কোচও সাফ বলে দেন, ‘রোনালদো যে অধিনায়ক থাকবেনই, এমন কোনও কথা নেই।’ এই আবহেই শেষ ষোলোর লড়াইয়ে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ডিফেন্ডার পেপেকে অধিনায়ক করে দল ঘোষণা করে পর্তুগাল। রোনালদোকে রাখা হয় সাইডবেঞ্চে।

এই ম্যাচে রোনালদোকে ৭৩ মিনিটে বদলি হিসেবে নামান সান্তোস। তার আগেই পর্তুগাল ম্যাচে এগিয়ে গেছে ৫-১ ব্যবধানে। শেষটা করে ৬-১ গোলের বিশাল জয়ে। সান্তোসের সিদ্ধান্ত নিয়ে তাই কেউ প্রশ্ন তুলেননি তখন।

আর সেই সাহস থেকেই কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর বিপক্ষেও একই কাজ করেন পর্তুগাল কোচ। রোনালদোকে রাখেন সাইডবেঞ্চে। এবার আর ফাটকা কাজে লাগেনি। গত বিশ্বকাপে মরক্কোর বিপক্ষে এই রোনালদোই গোল করে জিতিয়েছিলেন দলকে।

তাকেই কিনা কোচ বসিয়ে রাখলেন কোয়ার্টার ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে! পর্তুগাল এবার আর জিততে পারলো না, ১-০ গোলের হারে বিদায় হয়ে গেলো বিশ্বকাপ থেকেই।

রোনালদো গত বিশ্বকাপে মরক্কোর বিপক্ষে গোল করেছিলেন ৪ মিনিটের মাথায়। সেই রোনালদোকে এবার নামানো হলো ৫১ মিনিটে বদলি হিসেবে, পর্তুগাল ততক্ষণে অনেকটাই কোণঠাসা।

সেই কোণঠাসা অবস্থা থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পর্তুগিজরা। ফলে শেষ বিশ্বকাপ খেলতে এসে রোনালদো কী করতে পারলেন এই প্রশ্নটা যতটা না উঠছে, রোনালদোর মতো কিংবদন্তির সঙ্গে কী করা হলো, তার চেয়ে বেশি উঠছে সেই প্রশ্নটা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *