Breaking News

যেখানে কোচ ডোনাল্ডের চেয়েও টি-টুয়েন্টিতে অভিজ্ঞ মোস্তাফিজ, অথচ ব্যর্থ

বর্তমান সময়ের শর্ট ফর্মেটের ক্রিকেটে মোস্তাফিজের মত অভিজ্ঞ ক্রিকেটের সয়ং কোচ ডোনাল্ডও পিছিয়ে অথচ তার পরেও বার বার ব্যর্থ হচ্ছে সে। টেস্টে বাংলাদেশের পেসারদের বোলিংয়ের প্রশংসা করেছিলেন।

দুই টেস্টের সিরিজে টাইগাররা হোয়াইটওয়াশ হলেও দেশের অন্যতম সিনিয়র, অভিজ্ঞ ও প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেট প্রশিক্ষক নাজমুল আবেদিন ফাহিম খালেদ ও এবাদতের বোলিং দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।

বলেছিলেন, অনেক খারাপের মাঝে পেসাররা আলো জ্বালিয়েছে কিন্তু টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে সেই পেসারদের বোলিং দেখে চরম হতাশ কোচ ফাহিম। শুধু হতাশ নন, যারপরনাই অসন্তুষ্ট।

ফাহিমের সব অসন্তোষ মোস্তাফিজের ওপর। এ বাঁ-হাতি পেসারের কাছে তার প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি; কিন্তু মোস্তাফিজ তার কিছুই পূরণ করতে পারেননি। দুই ম্যাচে ৬ ওভারে উইকেট পেয়েছেন মোটে একটি।

রান দিয়েছেন ৬৪। ওভার পিছু যা ছিল সাড়ে দশেরও বেশি; ১০.৬৬। তাই তিন ম্যাচে টি টোয়েন্টি সিরিজে খেলা অপর দুই পেসার তাসকিন আর শরিফুলকে নিয়ে কোন কথা না বলে মোস্তাফিজের কড়া সমালোচনা করেছেন নাজমুল আবেদিন ফাহিম।

তার প্রথম কথা হলো, ‘আমার ধারনা ছিল এ টি-টোয়েন্টি সিরিজে মোস্তাফিজ বাংলাদেশের পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টকে লিড করবে। পেস অ্যাটাককে মোস্তাফিজ সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবে; কিন্তু হায়! সে চরম ব্যর্থ।

সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া দুরের কথা, এতটুকু প্রত্যাশা মেটাতে পারেনি। প্রতি ম্যাচে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। যা মোটেই প্রত্যাশিত ছিল না। আমি খুবই হতাশ। নিজের হতাশার মাত্রাটা কেন এত প্রবল? সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ফাহিম।

এ অভিজ্ঞ ও কুশলী কোচের সোজা-সাপটা উচ্চারণ, ‘টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সাকিবের পর এখন মোস্তাফিজই বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পারফরমার। অভিজ্ঞ বলতে তার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলার অভিজ্ঞতা অনেক বেশি।

আইপিএলের মত মহা আসরে সে নিয়মিত অংশ নিচ্ছে। এ ফরম্যাটের বিশ্বসেরা পারফরমারদের সঙ্গে নিয়মিত অনুশীলন করছে। হোটেল, ড্রেসিং রুম শেয়ার করছে। ভাল ভাল কোচের অধীনে প্র্যাকটিস করেছে। তাদের নানা পরামর্শও পেয়েছে।

সর্বোপরি আইপিএলের মত দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ আসরে বিশ্বের সব সেরা সেরা ব্যাটারদের বিপক্ষে বিভিন্ন কন্ডিশনে বোলিংয়ের অভিজ্ঞতাও সঞ্চয় করেছে।

তাই আমার ধারনা ছিল মোস্তাফিজ সেই অভিজ্ঞতা কাজে লগিয়ে এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ভাল করবে এবং আমাদের পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টকে লিড দেবে; কিন্তু নাহ! জায়গামত সে কিছুই করতে পারেনি। সেই না পারাটা ছিল চরম হতাশার।’

মোস্তাফিজের আন্তর্জাতিক টি টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা ও এক্সপোজারের বর্ননা দিতে গিয়ে ফাহিম বলে ওঠেন, ‘নিজ দলের পেসারদের চেয়ে তো বটেই, আমার মনে হয় পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের চেয়েও মোস্তাফিজের টি-টোয়েন্টির আন্তর্জাতিক এক্সপোজার বেশি।

ডোনাল্ডের চেয়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সে বড় মঞ্চে বেশি খেলেছে। তাই মোস্তাফিজের কাছ থেকে অনেক কিছু প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সে তুলনায় কিছুই পাইনি।

তার সুনাম সুখ্যাতি ও আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার আলোকে বিচার করলে, মোস্তাফিজ কিছুই করতে পারেনি এবং সবার আশা পূরণে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এখন বাকি ওয়ানডে সিরিজ দেখার অপেক্ষাই থকাবেন ক্রিকেট ভক্তরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *