মাত্র কদিন হলো যুক্তরাষ্ট্রের মোটর সিটি চ্যাম্পিয়নশিপে বিধ্বংসী এক শতক হাঁকিয়েছিলেন বাংলাদেশি ক্রিকেটার আরিফুল হক। এরপর একই টুর্নামেন্টে একই দলের হয়ে ঝড় তুলেছেন আরেক বাংলাদেশি ইমরুল কায়েস।
আরিফুলের মতো শতক পাননি তিনি, অল্পের জন্য হাতছাড়া করেছেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার। তবে ইমরুল খেলেছেন ৪২ বলে ৯৬ রানের ঝড়ো এক ইনিংস। যে উদ্দেশ্যে ইমরুল ও আরিফুলকে দলে নেওয়া হয়েছিল, তা-ও পূরণ হয়েছে,
টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাদের দল মিশিগান চিতা। যুক্তরাষ্ট্রে ইমরুলের ব্যাটে ৪২ বলে ৯৬-রানের বিধ্বংসী ইনিংস লিগ পর্বের ম্যাচে মিশিগান চিতা মুখোমুখি হয়েছিল এশিয়া ইউনাইটেডের।
সেই ম্যাচে মাত্র ৪২ বলের মোকাবেলায় ইমরুল কায়েস করেন ৯৬ রান। হাঁকান ৮টি চার ও ৭টি ছক্কা। উজ্জ্বল ছিলেন আরিফুল হকও। ১৬ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
প্রতিপক্ষ দলে ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক পেসার তাপস বৈশ্য ও বর্তমান পেসার আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী। তাপস একটি ও রাহী দুটি উইকেট শিকার করেন। ইমরুলের ব্যাটে ভর করে পাওয়া ২২২ রানের বিশাল পুঁজি নিয়ে মিশিগান পায় ৫০ রানের বিশাল জয়।
সেমিফাইনালে ইমরুল-আরিফুলরা মুখোমুখি হয়েছিলেন টারমিনেটর্স ক্রিকেট ক্লাবের। সেই ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১৭৮ রান জড়ো করে মিশিগান। এবার ২৭ বলে ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ইমরুল, হাঁকান তিনটি চার ও দুটি ছক্কা।
আরিফুল ৯ বলে ১৪ রান করেন। ২৩ রানের দাপুটে জয়ে মিশিগান জায়গা করে নেয় ফাইনালে। সশিরোপার লড়াইয়ে দলটির প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ টাইগার্স অব ইউএসএ। বৃষ্টির কারণে ফাইনাল ম্যাচ হয় কার্টেল ওভারে।
নির্ধারিত ১০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ইমরুল-আরিফুলরা জড়ো করেন ৯২ রান। ইমরুল এই ম্যাচে ৫ বলে ৯ ও আরিফুল ১০ বলে ১৬ রান করেন। বাংলাদেশ টাইগার্স অব ইউএসএ জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৮টি উইকেট হারিয়ে করেন মাত্র ৬৬ রান।
২৬ রানের জয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে মিশিগান। এর আগে লন্ডন টাইগার্সের বিপক্ষে মাত্র ৩৮ বলে ১০৪ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে হইচই বাঁধিয়ে ফেলেন আরিফুল হক। সেই ইনিংসে ৪টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি।
ইমরুল ও আরিফুল দুজনই এখন জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন। জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে তারা নিয়মিত মুখ। বর্তমানে বাংলাদেশে ঘরোয়া ক্রিকেটের ব্যস্ততা নেই।
এ কারণেই ইমরুল কায়েস, আরিফুল হক, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহীর মতো ক্রিকেটাররা খেলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন। রাহী ব্যর্থ হলেও ইমরুল ও আরিফুল দলকে শিরোপা জিতিয়েই ফিরছেন দেশে।