৭১ রানে আফগানিস্তানের ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু হাসমতউল্লাহ শহিদি আর মোহাম্মদ নবির দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত লড়াকু পুঁজিই দাঁড় করিয়ে ফেলেছে আফগানরা।
শারজায় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আফগানিস্তান ৪৯.৪ ওভারে দুই বল বাকি থাকতে অলআউট হয়েছে ২৩৫ রানে। অর্থাৎ জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ২৩৬। শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে
ব্যাটিং বেছে নেয় আফগানিস্তান। তবে বাংলাদেশের পেসারদের তোপে শুরুতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি তারা। শুরুটা করেছিলেন তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হানেন টাইগার পেসার।
দুর্দান্ত এক আউটসুইঙ্গারে রহমানুল্লাহ গুরবাজকে (৭ বলে ৫) উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানান তিনি। এরপর কিছুটা সময় উইকেট ধরে রাখার চেষ্টা করেছিল আফগানিস্তান।
অষ্টম ওভারে বল হাতে নিয়েই উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজ। কাটার মাস্টারের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন রহমত শাহ (১৩ বলে ২)।
মোস্তাফিজ নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে তুলে নেন আরও এক উইকেট। এবার অভিষিক্ত সেদিকউল্লাহ অতলকে (৩০ বলে ২১) এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন বাঁহাতি এই পেসার।
দশম ওভারেই তিন বল পরে আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে (৩ বলে ০) উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে বন্দী করেন মোস্তাফিজ। ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে আফগানিস্তান।
এরপর গুলবাদিন নাইব ২২ করে তাসকিনের শিকার করে ৭১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে আফগানরা। সেখান থেকে হাসমতউল্লাহ শহিদি আর মোহাম্মদ নবির প্রতিরোধ।
ষষ্ঠ উইকেটে তারা গড়ে তোলেন ১২২ বলে ১০৪ রানের লড়াকু জুটি। ব্যক্তিগত ৫২ রানে শহিদিকে বোল্ড করে এই জুটিটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেন মোস্তাফিজ। এরপর রশিদ খানকে (১০) সাজঘরের পথ দেখান শরিফুল।
সেঞ্চুরির দিকে ছুটতে থাকা নবিকে আটকান তাসকিন। তার শর্ট বলে পুল খেলতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন নবি। ৭৯ বলে ৮৪ রানের মারকুটে ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারি আর ৩টি ছক্কা হাঁকান আফগান অলরাউন্ডার।
পরের বলেই তাসকিন বোল্ড করেন গাজানফরকে। তার এক বল পরে পাঁচ উইকেট পূর্ণ হতে পারতো তাসকিনের। কিন্তু ফজলহক ফারুকির বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে
আম্পায়ার আঙুল তুলে দিলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যায় আফগানিস্তান। শেষদিকে নানগেয়ালিয়া খারোতে ২৮ বলে হার না মানা ২৭ রান করে আফগানিস্তানকে ২৩৫ পর্যন্ত নিয়ে যান।
তাসকিন আহমেদ ৫৩ এবং মোস্তাফিজুর রহমান ৫৮ রান দিয়ে নেন ৪টি করে উইকেট। একটি উইকেট শরিফুল ইসলামের।