Breaking News

মুমিনুলের সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ২২৭ রানেই শেষ হলো বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস

অন্য ব্যাটসম্যানরা আসা যাওয়ার মিছিলে থাকলেও একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল। শান্ত স্বভাবের মুমিনুল থেকে আরেকটি শতক দেখার অপেক্কায় ছিল বাংলাদেশ। তবে সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হল তাকে।

১৫৭ বলে ৮৪ রান করে অশ্বিনের শিকার হন মুমিনুল। এর এক বল পরেই খালেদের বিদায়ে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা। ৭৩.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২২৭ রান।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সাবলীল শুরু করে টাইগাররা। শান্ত-জাকির দেখেশুনেই খেলছিলেন। তবে প্রথম ঘণ্টায় উইকেট না হারানো স্বাগতিকরা মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারেনি। দলীয় ৩৯ রানে উনাদকাটের বলে রাহুলের ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফেরেন জাকির হোসেন।

আগের টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান এবার ফিরেছেন মাত্র ১৫ রানে। চার বলের ব্যবধানে সাজঘরে ফিরেছেন আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত (২৪)। সেখান থেকে প্রথম সেশনের বাকি সময় সাকিব আল হাসান-মুমিনুল হকের ব্যাটে পার করে স্বাগতিকরা।

তবে লাঞ্চ বিরতিতে সাকিবের মনে কি ছিল তা হয়তো তিনিই জানেন, হয়তো এমন কিছু করবেন তা পরিকল্পনা করেই এসেছেন। বিরতির পর প্রথম বলেই চড়াও হতে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

ফলাফল প্রথম বলেই উইকেট বিলিয়ে দিলেন সাকিব। উমেশ যাদবের বলে উড়াতে গিয়ে পূজারার হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৩৯ বলে ১৩ রানে ফিরেছেন সাকিব। তার বিদায়ে ভাঙল ৪৩ রানের জুটি।

সাকিবের বিদায়ের পর দলকে টেনে তোলেন মুশফিক ও মুমিনুল। তবে এই জুটিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৪৮ রানের জুটি গড়ে উনাদকাটের দ্বিতীয় শিকার হয়েছেন মুশফিক (২৬)।

এর এক ওভার পর উনাদকাটকে দুই চার মেরে ৭৮ বলে মুমিনুল পৌঁছেছেন ফিফটিতে। ১২ ইনিংস পর ফিফটির দেখা পেয়েছেন তিনি। যা তার ষোলোতম ফিফটি। বাংলাদেশের কোনো জুটিই ঠিকভাবে দাঁড়াতে পারছে না।

পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশ হারাল লিটনকে। ঝড় তুলেও ফিরলেন ২৬ বলে ২৫ রান করে। তার বিদায়ে ভাঙে ৪২ রানের জুটি।এক সেশনে তিন উইকেট হারিয়ে সাবধানী ছিল মিরাজ-মুমিনুল জুটি।

৬৫তম ওভারে মিরাজের চারে দুইশ স্পর্শ করলো বাংলাদেশের রান। তবে প্রথম টেস্টের মত বড় ইনিংস খেলতে পারেননি মিরাজ। তিনি ফিরেছেন মাত্র ১৫ রান করে। মুমিনুল হকের সঙ্গে ১০৬ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন মিরাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *