মাশরাফি বিন মর্তুজার দুরন্ত সিলেট স্ট্রাইকার্স অবশেষে ডুবলো হতাশায়। মিরপুরে বিপিএল ফাইনালে তাদের ৭ উইকেট আর ৪ বল হাতে রেখে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিপিএল চ্যাম্পিয়ন হলো ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
সবমিলিয়ে কুমিল্লার এটি চতুর্থ শিরোপা। ফাইনালটা হয়েছে ফাইনালের মতোই। সিলেটের হারের ব্যবধান বড় হলেও ম্যাচটি অনেকটা সময় দুলছিল পেন্ডুলামের মতো। কুমিল্লার লক্ষ্য ছিল ১৭৬ রানের।
১৬ ওভার পর্যন্ত দুই দলেরই জয়ের সমান সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছিল। শেষ ২৪ বলে কুমিল্লার দরকার পড়ে ৫২ রান। রুবেল হোসেনের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক মাশরাফি। ওই ওভারেই ম্যাচটা চলে যায় কুমিল্লার হাতে।
জীবন পাওয়া জনসন চার্লস আর মঈন আলি মিলে ওভারে তুলে নেন ২৩ রান। শেষ পর্যন্ত এই জুটিই ম্যাচ বের করে নিয়ে এসেছে। চার্লস ৫২ বলে ৭ চার আর ৫ ছক্কায় ৭৯ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে দেন।
১৭ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন মঈন আলি। রান তাড়ায় নেমে অবশ্য ৩৪ রানের মধ্যে সুনিল নারিন (৫ বলে ১০) আর ইমরুল কায়েসকে (২) হারিয়ে বিপদে পড়েছিল। এরপর চার্লসকে নিয়ে ৫৭ বলে ৭০ রানের জুটি গড়েন লিটন।
৩৯ বলে ৫৫ রানের একটি ইনিংস খেলেন লিটন, যাতে ৭ চারের সঙ্গে ছিল একটি ছক্কার মার। এর আগে এবারের বিপিএলে দুরন্ত ছন্দে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত আর মিস্টার ডিপেন্ডেবল
মুশফিকুর রহিমের হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৭ উইকেটে ১৭৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় সিলেট। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।
ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি তৌহিদ হৃদয় (০)। মাশরাফি আরও একবার নেমে গিয়েছিলেন ওয়ান ডাউনে। তবে আজ ৪ বলে মাত্র ১ করে আউট হয়ে যান সিলেট দলপতি।
দ্বিতীয় উইকেটে শান্ত আর মুশফিক মিলে ৫৬ বলে ৭৯ রানের জুটি গড়ে বিপদ সামাল দেন। শান্ত ৪৫ বলে ৯ চার আর ১ ছক্কায় ৬৪ রানের ইনিংস খেলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মঈন আলির বলে। এরপর রায়ান বার্ল ১১ বলে ১৩,
থিসারা পেরেরা ০ আর জর্জ লিন্ডে ৬ বলে ৯ রান করে ফিরে গেলে মুশফিক একাই হাল ধরেন। ৪৮ বলে ৫ চার আর ৩ ছক্কায় ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।