Breaking News

মামা আমার মেয়েটার মুখ আর দেখা হলো না ‘মনিরুজ্জামান’

মামা আমার মেয়েটার মুখ আর দেখা হলো না মৃত্যুর আগে মনিরুজ্জামানের আকুতি। আমার শরীর পুড়ে গেছে। আমি হয়তো আর ফিরব না। আমার কলিজা মেয়েটার মুখ আর দেখা হবে না মামা।

তুমি একটু দেখে রাখিও। মৃত্যুর আগে মামা মির হোসেনকে ফোন করে এসব কথা বলেছিলেন কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান (৩২)।

তিনি শনিবার (৪ জুন) রাত ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে গিয়ে মারা যান।মৃত্যুর আগে ভাগনের বলা কথাগুলো উচ্চারণ করে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন মামা মির হোসেন।

তার আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিবেশ।শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে কুমিরা ফায়ার স্টেশনের নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানও রয়েছেন।

তিনি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানার সাতবাড়িয়া এলাকার শামসুল হকের ছেলে।মনিরের বড় মামা মির হোসেন সকালে হাসপাতালে এসে ভাগনের মরদেহ শনাক্ত করেন। মনির আট বছর আগে ফায়ার সার্ভিসে কর্মজীবন শুরু করেন।

গেল দুই মাস আগে তিনি কুমিরা ফায়ার স্টেশনে যোগ দেন। দুই মাস বয়সী এক কন্যাসন্তান রয়েছে তার।মির হোসেন বলেন, দুদিন আগে কুমিরায় গিয়ে মনিরের সঙ্গে সারা দিন ঘুরেছি। অনেক আড্ডা দিয়েছি।

সকালে ফোন করে তাকে পাচ্ছিলাম না। তাই হাসপাতালে ছুটে আসি। আমি তাকে চিনতে পেরেছি, সে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। কথাগুলো বলেই তিনি আবারও কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এদিকে, সময় যত যাচ্ছে দগ্ধ রোগী আর স্বজনদের আহাজারি ততই বাড়ছে। হাসপাতালে বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যসেবীর সঙ্গে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *