নিউজিল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষ করে বাংলাদেশ দল যেদিন বিশ্বকাপ ভেন্যুতে এলো, সেদিন পেসার এবাদত হোসেনকে যতটা হাসিখুশি দেখাচ্ছিল, মুস্তাফিজুর রহমান ততটাই চুপসে ছিলেন নিজের ভেতরে।
এবাদতের খুশি বিশ্বকাপ দলে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পেরে। মুস্তাফিজ মনমরা হওয়ার কারণ ছিল টানা ম্যাচ খেলতে না পারায়। বাঁহাতি এ পেসারের বল ছাড়ার অ্যাকশন নিজের অজান্তেই পরিবর্তন হওয়ায় কাটার, স্লোয়ারের ধার কমে গিয়েছিল।
বলের পেস নেমেছিল ১৩০-১৩২ কিলোমিটারে। কোচ শ্রীধরন শ্রীরাম সে ত্রুটি ধরিয়ে দেওয়ার পর পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের সঙ্গে একান্তে কাজ করে মুস্তাফিজ ফিরে গেছেন পুরোনো অ্যাকশনে।
বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ থেকেই পুরোনো অ্যাকশনে বোলিং করে সাফল্যও পাচ্ছেন বাঁহাতি এ পেসার। বোলিংয়ে গতি বেড়েছে, লাইন-লেন্থে এসেছে ধারাবাহিকতা। ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল মুস্তাফিজের উইকেটপ্রাপ্তি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি হয়েছিল, টেলএন্ডের উইকেট শিকারি মুস্তাফিজ। সেরা ছন্দে না থাকায় আইপিএলেও নিয়মিত ম্যাচ খেলতে পারছিলেন না। কতজনই তো বাঁহাতি এ পেসারের ফুরিয়ে যাওয়া দেখে ফেলেছিলেন।
বিশ্বকাপের আগেও তাঁকে সমালোচকদের কথার বিষ হজম করে যেতে হয়েছে দাঁতে দাঁত চেপে। জাতীয় দল সতীর্থদের কাছ থেকে সমর্থন না পেলে এতদিনে হয়তো পথ হারাতেন তিনি।
গত কয়েক বছর ধরেই বাঁহাতি এ পেসার চেষ্টা করছিলেন নিজেকে ফিরে পেতে। শুধু বোলিংয়ের গলদটাই ধরতে পারছিলেন না। কোচ সেটা চিহ্নিত করে দেওয়ায় যেন পুনর্জন্ম পেলেন ফিজ।
হোবার্টের মেঘলা কন্ডিশনে বোলিং করলেন লাইন-লেন্থ ফিরে পেতে। ২০ রান দিয়ে কোনো উইকেট না পেলেও স্বস্তির হাসি নিয়ে ফিরতে পারলেন ড্রেসিংরুমে। নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচটি ছিল মুস্তাফিজের জন্য নিজেকে ফিরে পাওয়ার।
সেই আগের মতো মাথার ওপর থেকে বল ছাড়ার কৌশল প্রয়োগ করে দেখার। সেখানে সফল হওয়ার পরই ভালো বোলিং করার দিকে ঝুঁকেছেন কাটার মাস্টার। উন্নতির