Breaking News

বিশ্ব মঞ্চে ২২ গজের সেরা বোলার হতে চান মুস্তাফিজ

বিশ্ব মঞ্চে নিজেকে ২২ গজের সেরা বোলার করতে চান মুস্তাফিজ। অভিষেক হয়েছেছিলো এক কথাই রাজার হালেই । ২০১৫ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক।

প্রথম ম্যাচেই ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে তুলে নেন ২ উইকেট। নিজের বিষাক্ত কাটারে ২২ গজে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের ফেলেন অস্বস্তিতে। ২৪ বলের ১৬ ডটই তা প্রমাণ করে। এরপর বিশ্ব তারকাদের একজন মুস্তাফিজ।

ছিল নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জে বল হাতে নিজের জাত চিনিয়ে জায়গা করে নেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, পাকিস্তান সুপার লিগ, ন্যাটওয়েস্ট টি–টোয়েন্টি ব্লাস্টের মতো ফ্র‍্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে।

তবে এদানিংকালে চোট আর অফ ফর্মের সাথে বেশ সখ্যতা গড়েছেন ২৬ বছর বয়সী এ পেসার। যার ফলে মাঠের সময়টা জুতসই যাচ্ছে না তার। যে মুস্তাফিজ ক্যারিয়ারের শুরুতে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়েছিলেন, হয়েছিলেন অনেকের আইডল, সেই মুস্তাফিজ কীনা এখন বিশ্বের ভালো বোলারদের মতো হতে চান।

উইন্ডিজ সফরে গায়ানায় সংবাদমাধ্যমকে মুস্তাফিজ বলছিলেন, ‘আপনারা না পাইতে পারেন (আগের মুস্তাফিজ), কিন্তু আমি মনে করি অস্ত্রোপচার করানোর পর হয়তো এক–দেড় বছর আমার পারফরম্যান্স ভালো ছিল না। এরপর তো আমি মনে করি তবে শেখার শেষ নেই। প্রতিদিনই শেখা যায়।

আমিও চেষ্টা করছি আরো উন্নতি করতে যেন, বিশ্বের অন্য ভালো বোলারদের মতো কীভাবে হওয়া যায়। ফিটনেসে উন্নতি আনা বলেন, কোচদের পরামর্শ নেওয়া বলেন— শিখছি আমি।

মুস্তাফিজের সমসাময়িক পেসারদের মধ্যে ছিলেন ভারতের জসপ্রিত বুমারহ, দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা, পাকিস্তানের শাহীন শাহ আফ্রিদি। তারা ইতোমধ্যে নিজেদের জায়গায় বেশ প্রতিষ্ঠিত। নিজেদেরকে করেছেন অনন্য।

আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিশ্ব সেরাসদের কাতারে শক্ত অবস্থানে তারা। অথচ মুস্তাফিজ যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। উইন্ডিজে সবশেষ টি-টোয়েন্টিতে বল হাতে ছিলেন নির্বিষ। ৩৫ রানে হারের ম্যাচে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩৭ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি এই বাঁহাতি।

নিজের এমন পারফরম্যান্সের কারণে অবশ্য উইকেটকে দায়ী করলেন মুস্তাফিজ, ‘এশিয়ার উইকেট এক রকম, এশিয়ার বাইরের উইকেট আরেক রকম। এশিয়ার বাইরে উইকেট বেশি ভালো (ব্যাটিং সহায়ক) থাকে।

আমার মনেহয় এটা একটা কারণ হতে পারে। আর আমি চেষ্টা করি আমার সেরাটা দেওয়ার। এশিয়ার মধ্যে দেখবেন (টি–টোয়েন্টিতে) ১৫০ রান করতেই কষ্ট হয়।

আর এশিয়ার বাইরে দুইশ রানও নিরাপদ নয়। আমার যেটা মনে হয়, এই কারণে ইকোনমি রেট বাড়তে পারে। আর ওয়ানডের জন্য কাজ করেছি দক্ষিণ আফ্রিকায়। খুব বেশি দিন এখনো ওনাকে পাইনি।

তবে কোচের পরিকল্পনাগুলো খুব ভালো লাগছে। বেক্তিগতভাবে তার সাথে কাজ করতে ভাল সময় কাটবে বলে মনে করেন মুস্তাফিজ ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *