বিদায়ী বছরটা লাতিন আমেরিকার পরাশক্তি আর্জেন্টিনার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিন যুগের অপেক্ষার পর যে সোনার হরিণ বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটা তাদের হাতে ধরা দিয়েছে। ১৯৮৬ সালে মেক্সিকো থেকে ম্যারাডোনা শিরোপা নিয়ে আসার পর
থেকে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটা দুঃস্বপ্নই ছিল আলবিসেলেস্তেদের। ২০১৪ সালে একবার সুযোগ এসেছিল। কিন্তু ফাইনালে ইনজুরি টাইমে মারিও গোৎসের গোলে জার্মানির কাছে হেরে শিরোপা স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিতে হয়।
অবশেষে সেই সোনালি ট্রফি ধরা দেয় কাতারে। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসি আরাধ্য সেই ট্রফি উঁচিয়ে ধরে আর্জেন্টিনাবাসীকে আবারো উৎসবের উপলক্ষ্য এনে দেন।
এরপরই তিনি জিতেছেন ২০২২ সালের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি ‘দ্য বেস্ট ফিফা মেন’স প্লেয়ার অ্যাওয়ার্ড’। এছাড়া চলতি বছরের ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে ফেবারিট হিসেবেও রয়েছেন পিএসজির এই তারকা।
এবার মহাতারকার সাফল্যের মুকুটে আরও তিন পালক যুক্ত হলো।bফুটবল ইতিহাস ও পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা জুরিখ ভিত্তিক সংস্থা আইএফএফএইচএস-এর পক্ষ থেকে তিনটি পুরস্কার জিতেছেন মেসি।
২০২২ সালে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়, সেরা প্লেমেকার ও আন্তর্জাতিক ফুটবলে সেরা গোলদাতার পুরস্কারও পেয়েছেন পিএসজি ফরোয়ার্ড। গত শুক্রবার (২০ এপ্রিল) আইএফএফএইচএস তাদের ওয়েবসাইটে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আইএফএফএইচএসের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি পুরস্কার জিতেছেন এলএমটেন। ২০১১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৩টি আইএফএফএইচএস অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন তিনি।