ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষ হতে না হতেই সামনে চলে আসছে জিম্বাবুয়ে মিশন। আজ-কালকের মধ্যে দেশে ফিরে আসবে জাতীয় দলের পুরো বহর; কিন্তু দেশে ফিরে একদন্ড বিশ্রামের সুযোগ নেই তাদের। কারণ চারদিন পরই জিম্বাবুয়ের উদ্দেশ্যে বিমানে উঠতে হবে।
আগামী ২৬ জুলাই জিম্বাবুয়ের প্রথম ফ্লাইট। ৩০ জুলাই বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিম্বাবুয়েতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট, টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে সিরিজ খেলা এবং ভ্রমণ ক্লান্তির পর দেশে ফিরে একদমই বিশ্রাম মিলবে না।
মাত্র ৪দিন পর আবার জিম্বাবুয়ে উড়ে যেতে হবে। যার ফলে ক্রিকেটারদের ওপর পড়বে বাড়তি শারীরিক ও মানসিক চাপ। এ শারীরিক ধকল ও মানসিক চাপ সহ্য করে খেলতে হবে। সেটা কতটা সহনীয়? টাইগাররা কী পারবে স্বাভাবিক পারফর্ম করতে?
আজ বুধবার পড়ন্ত বিকেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে দেশে ফেরা অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজের দাবি, যেহেতু তারা পেশাদার ক্রিকেটার। তাই তাদের সব পরিস্থিতিতেই মানিয়ে নিতে হয়।
মানিয়ে নিতে হবে এবং তারা জিম্বাবুয়ের মাটিতেও করণীয় কাজ ঠিক মতোই করতে পারবেন। মিরাজের কথা, ‘ইনশাল্লাহ, দেখেন আমরা পেশাদার খেলোয়াড়। আমাদের অবশ্যই খেলতে হবে এবং আমি মনে করি যে যতদিন ক্রিকেট খেলব এবং যেই খেলুক না কেন- পেশাদার খেলোয়াড়দের মত খেলা হওয়া উচিত।
কারণ দেখেন, আমরা হয়তো চারদিন হাতে সময় পেয়েছি। তারপর আমাদের জিম্বাবুয়ে সিরিজ, এরপর হয়তো খুব তাড়াতাড়ি অনেক খেলা আছে। সো আমরা মনে করি যে, যত তাড়াতাড়ি মানসিক রিফ্রেশ করা যায় এবং চারটা দিন পরিবারের সঙ্গে ইনজয় করার চেষ্টা করবো।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ট্র্যাক রেকর্ড তুলনামূলক ভালো। টেস্ট আর টি-টোয়েন্টিতে ততটা ভালো নয়। এর পিছনের কারণ কি? জানতে চাইলে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অনেক কথার ভিড়ে মিরাজ বলেছেন আসলে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা তুলনামূলক একটু স্বস্তিতে খেলতে পারে বা কমফোর্টেবল এই ফর্মেটে ধারাবাকি জয়ের কারনেই।
আর সেটাই তাদের ভাল খেলার পিছনে বড় ভূমিকা রাখে। মিরাজের ব্যাখ্যা, ‘টেস্ট ক্রিকেটে একটা সেশন খারাপ খেললে অন্য সেশনে ভালো করার সুযোগ থাকে।
টানা পাঁচদিন যে দল ভালো করে তাদেরই ফল পাওয়ার সুযোগ বেশি থাকে। টি-টোয়েন্টি যদি বলেন, খুব অল্প সময়ের খেলা যে এক-দুটা ওভারে মোমেন্টাম বদলে যায়। সো দুটা ওরকম।
ওয়ানডেটা যেহেতু আমরা অনেকদিন ধরে ভালো খেলে আসছি। ওয়ানডেতে সবাই খুব ভালো টাচে থাকে, সবাই ওই বিশ্বাসটা করে। আমাদের ভেতর যেসব খেলোয়াড় আছে, অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটারও আছে যারা সব সময় খেলে।
‘আমরা তাই ওয়ানডেতে কমফোর্টেবল। সব সময়ই ভালো ক্রিকেট খেলি। ৪/৫ বছর ধরে ভালো রেজাল্টও করে আসছি। যে জিনিসটা সফলতা পায়, অবশ্যই ওই জিনিসটায় সবাই বেশি আত্মবিশ্বাসী থাকে।