বল হাতে এসেই উইকেট নিলেন সাকিব।বোলিং শুরু করার প্রথম বলে কোনো বোলার যদি উইকেট পেয়ে যান, তাহলে দিনটি তার হতে বাধ্য। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান কি পারবেন দিনটিকে নিজের করে নিতে।
এমনিতেই ২২ রানের মাথায় ২ উইকেট তুলে নিয়ে ক্যারিবীয়দের চাপে ফেলে দেন নাসুম আহমেদ এবং মাহদি হাসান। ইনিংসের ৭ম ওভারে প্রথমবার বল হাতে তুলে নেন সাকিব আল হাসান।
বল করতে এসেই প্রথম বলে উইকেট নিয়ে নিলেন তিনি। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ওডেন স্মিথকে। সাকিবের ফ্লাইটেড ডেলিভারিটি বুঝতেই পারেননি স্মিথ। স্লগ সুইপ করতে চেয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু বল মিস করেন। তাতেই বল গিয়ে আঘাত হানে ভেতরের পায়ে। সাকিবদের জোরালো আবেদনে সাড়া দিলেন আম্পায়ার। স্পষ্ট এলবিডব্লিউ হওয়ার কারণে ব্যাটারও আর রিভিউ নিলেন না। আউট মেনে চলে গেলেন প্যাভিলিয়নে।
এ রিপোর্ট লেখার সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৭ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৭। ১৯ রানে কাইল মায়ার্স এবং ২ রানে ব্যাট করছেন নিকোলাস পুরান।
সিরিজে সমতা আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশের পূঁজি মাত্র ১৬৩ রান। ১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শুরুতেই দারুণভাবে চেপে ধরেছেন দুই স্পিনার। নাসুম আহমেদ প্রথম ব্রেক থ্রুটা এনে দেন।
এরপর ধারাবাহিকতা রক্ষা করে দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন আরেক স্পিনার মাহদি হাসান। ১৬৪ রানের লক্ষ্যে ক্যারিবীয়দের ইনিংস ওপেন করতে নামেন ব্রেন্ডন কিং এবং কাইল মায়ার্স।
দলীয় ৯ রানের মাথায় ব্রেন্ডন কিংকে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন নাসুম আহমেদ। ৫ বলে ৭ রান করে আউট হন কিং। এরপর জুটি বাধেন কাইল মায়ার্স এবং সামারাহ ব্রুকস।
দলীয় ২২ রানের মাথায় মাহদি হাসানের বলে সামারাহ ব্রুকসের দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন এনামুল হক বিজয়। ১২ বলে ১২ রান করে আউট হন ব্রুকস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ- ১৬৩/৫ (২০ ওভার) (লিটন ৪৯, বিজয় ১০, সাকিব ৫, আফিফ ৫০, মাহমুদউল্লাহ ২২, মোসাদ্দেক ১০*; হেইডেন ২/২৫)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ- ১১৯/৩ (১৪ ওভার) (কিং ৭, ব্রুকস ১২,মায়ারস ৫৫,পুরান ৫০*; নাসুম ১/১৩, মেহেদি ১/২১ ,নাসুম ২/৩৪)