টি-টোয়েন্টির বর্ষসেরা দলের পর মুস্তাফিজুর জায়গা করে নিয়েছেন ৫০ ওভারের একাদশেও। তার সঙ্গে আরও আছেন সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও কিপার-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। ওয়ানডে ক্রিকেটে কি নীরব বিপ্লব ঘটে গেছে? আইসিসির বর্ষসেরা দলে গত বিশ্বকাপের চার সেমিফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কোনো ক্রিকেটারই নেই, নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও কেউ। যেখানে বাংলাদেশেরই আছে তিনজন। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আয়ারল্যান্ডের দুজন করে আছেন ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছর বলে ২০২১ সালে ওয়ানডেই খুব কম হয়েছে। সবচেয়ে কম খেলেছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড, মাত্র ৩টি করে। ভারত ও পাকিস্তান খেলেছে ৬টি। ২০২১ সালে সবচেয়ে বেশি, ১৫টি ওয়ানডে খেলেছে শ্রীলঙ্কা, এরপরই আয়ারল্যান্ড (১৪টি)। বাংলাদেশ ১২ ম্যাচ খেলে জিতেছে ৮টিতে। দক্ষিণ আফ্রিকা খেলেছে ১০টি, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯টি করে। ভারত, পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়ে খেলেছে ৬টি ম্যাচ।
এবার আইসিসি বর্ষসেরা দলের দিকে তাকালে রহস্যটা অনেক পরিষ্কার হয়ে যাবে। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা চারটি দেশেরই নয়জন আছেন এতে। তাহলে পাকিস্তানের যে দুজন, তার ব্যাখ্যা কী! পাকিস্তান তো খেলেছে মাত্র ৬্টি ম্যাচ। তারপরও বাবর আজম ও ফখর জামান যে দলে, তার কারণ তাঁদের না নিয়ে পারা যায়নি। পাকিস্তানের ছয়টি ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডর কঠিন কন্ডিশনে। সেখানে বাবর আজম ও ফখর জামানের দুটি করে সেঞ্চুরি।
বাবরের দুই সেঞ্চুরির একটি দক্ষিণ আফ্রিকায়, অন্যটি ইংল্যান্ডে। আরেকটি ৯৪, পরপর দুই ম্যাচে ফখর জামানের দুই সেঞ্চুরি দক্ষিণ আফ্রিকায় যার প্রথমটি আবার ১৯৩ রানের। এই দুজনকে তাই দলে না রেখে উপায় ছিল না। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড-ভারতের কোনো ক্রিকেটার আইসিসির বর্ষসেরা দলে না থাকার রহস্যটা এবার নিশ্চয়ই পরিষ্কার বোঝা যাবে।