Breaking News

বর্তমান ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় আছেন বাংলাদেশী ‘তামিম’

বর্তমান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় আছেন বাংলাদেশীও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক কে ? ক্রিকেটে মোটামুটি ধারণা রাখে এমন সবাই এক মুখে বলবে শচীন টেন্ডুলকারের কথা।

কেননা ভারতীয় ক্রিকেট ঈশ্বর যে ১০০টি সেঞ্চুরি করে নিজেকে অনন্য মাইলফলকে নিয়ে গেছেন।

দুই ফরম্যাট মিলিয়ে (টেস্টে ৫১, ওয়ানডেতে ৪৯) এই কীর্তি গড়ে ২০১৩ সালে অবসরে যান শচীন। অবসরে যাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং ৭১টি সেঞ্চুরির মালিক।

শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারা করেছেন ৬৩টি সেঞ্চুরি। দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা জ্যাক ক্যালিস ও হাশিম আমলা যথাক্রমে ৬২ ও ৫৫টি সেঞ্চুরি করেছেন।

আরেক লঙ্কান সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে ৫৪টি সেঞ্চুরি করেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি ব্র্যায়ান লারা ৫৩টি ও ভারতের সাবেক অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড় ৪৮টি সেঞ্চুরি করে ওপরের দিকে রয়েছে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির এই তালিকাটি ছিল সাবেকদের নিয়ে। তবে বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে ৭০টি সেঞ্চুরি করে সবার ওপরে রয়েছেন ভারতীয় পোস্টার বয় বিরাট কোহলি।

আর এই তালিকাটি সেরা ১০ জনের করলে সেখানে বাংলাদেশের তারকা তামিম ইকবালের নাম উঠে আসবে। কোহলির পর ৪৩ সেঞ্চুরি নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে রয়েছেন ইংল্যান্ডের জো রুট। সমান সেঞ্চুরিতে তৃতীয়স্থানে অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এখন সেভাবে না খেলা উইন্ডিজ ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল ৪২টি সেঞ্চুরি নিয়ে চারে রয়েছেন। ৪১ সেঞ্চুরিতে এরপরেই রয়েছেন ভারতের বর্তমান অধিনায়ক রোহিত শর্মা।

ছয় নম্বর পজিশনটি অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথের। তিনি ৩৮টি সেঞ্চুরি করেছেন। একটি সেঞ্চুরি কম করা নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন সাতে রয়েছেন।

২৫টি সেঞ্চুরিতে আটে টাইগার ওপেনার তামিম। বর্তমানে দারুণ ফর্মে থাকা পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম ২৪টি সেঞ্চুরি নিয়ে নয়ে রয়েছেন। আর সমান সেঞ্চুরিতে দশে ভারতের শিখর ধাওয়ান।

তামিম নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান ২০০৮ সালের মার্চে মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে। তবে ২০০৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওডিআইতে অভিষেকের পর প্রথম সেঞ্চুরি পেতে এই বাঁহাতিকে খেলতে হয়েছিল ২৬টি ইনিংস।

অবশেষে ২৭তম ওয়ানডেতে এসে তিন অঙ্কের দেখা পান। ওয়ানডের প্রায় এক বছর পর ২০০৮ সালের ৪ জানুয়ারি টেস্টে অভিষেক হয় তামিমের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ডানেডিন টেস্টের দুই ইনিংসেই অবশ্য ফিফটি (৫৩ ও ৮৪) তুলে নেন তিনি।

তবে সাদা পোশাকে ২০ ইনিংস পর প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন দেশ সেরা ওপেনার। ২০০৯ সালে ৯ জুলাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কিংস্টনে দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৮ রান করেন তিনি।

ওয়ানডেতে তামিমের সেঞ্চুরি ১৪টি। যেখানে টেস্টে করেছেন ১০টি। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওমানের বিপক্ষে এই ফরম্যাটে একমাত্র সেঞ্চুরিটি রয়েছে তার।

টেস্টে তামিম নিজের সর্বশেষ সেঞ্চুরিটি করেছেন কিছুদিন আগে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে। আর ওয়ানডেতে তার শেষ সেঞ্চুরি আসে ২০২১ সালের ২০ জুলাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

তামিম এখন পর্যন্ত ৬৭টি টেস্ট খেলেছেন। যেখানে ১০টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৩১টি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে তার। ৩৯.৫৩ গড়ে তিনি ৪৯৮১ রান করেছেন। বাংলাদেশ দল বর্তমানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রয়েছে।

এই সফরটি দুটি টেস্ট ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে। ফলে তামিমের সেঞ্চুরি সংখ্যা আরও বাড়ানোর সুযোগ থাকছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে সাদা পোশাকে ৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করার সুযোগও রয়েছে।

২২৫ ওয়ানডে খেলা তামিম ১৪টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৫২টি ফিফটি করেছেন। এই ফরম্যাটে তিনি ৩৬.৭৪ গড়ে ৭৮২৬ রান করেছেন। ক্যারিবীয় সফরে বাংলাদেশ তিনটি ওয়ানডেও খেলবে। পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচেও তার সেঞ্চুরি এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকছে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি থাকলেও তামিম হয়তো এই সিরিজটি খেলবেন না। কেননা এই ফরম্যাট থেকে তিনি ৬ মাসের বিরতি নিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *