Breaking News

ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িত থাকায় ছয় বছরের কারাদণ্ড ‘দক্ষিণ আফ্রিকার’ পেসারের !

ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িত থাকায় ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ‘দক্ষিণ আফ্রিকার’ পেসারকে। দক্ষিণ আফ্রিকার র‍্যাম স্ল্যাম টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ২০১৫ সালের আসরে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে দেশটির পেসার পুমেলেলা মাৎশিকের।

তবে এই ছয় বছরের মধ্যে পাঁচ বছর স্থগিত সাজা দেওয়া হয়েছে ৩৭ বছর বয়সী এ ডানহাতি পেসারকে। ২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের (সিএসএ) অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের পক্ষ থেকে ছয়জন খেলোয়াড়কে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।

তন্মধ্যে অন্যতম ছিলেন এই পুমেলেলা মাৎশিকে। তখন তাকে সবধরনের ক্রিকেট থেকে দশ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল প্রোটিয়া বোর্ড।

গোলাম বদির পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এই ঘটনায় কারাদণ্ড পেলেন মাৎশিকে। ২০০০ সালে হানসি ক্রুনিয়ের ফিক্সিং কাণ্ডের পর ২০০৪ সালে এ বিষয়ক আইন তৈরি করে দক্ষিণ আফ্রিকা।

সেই আইনে দীর্ঘদিন মামলা লড়ার পর শুক্রবার ছয় বছর (পাঁচ বছর স্থগিত) কারাদণ্ড পান মাৎশিকে। তাকে চারটি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালাত।

যেগুলো হলো- ২০১৫ সালের র‍্যাম স্ল্যামে টাকা নিয়ে এক বা একাধিক ম্যাচ পাতানো; খেলাটির ওপর দাগ লাগানোর মতো অর্থের আদানপ্রদান; বোর্ডের অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের কাছে অর্থ লেনদেনের যথাযথ হিসেব দিতে ব্যর্থ হওয়া এবং ফিক্সিংয়ের প্রস্তাবের বিস্তারিত তথ্য না দেওয়া।

বোদি-মাৎশিকে ছাড়া ২০১৬ সালে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্য ক্রিকেটাররা হলেন থামি সোলেকিলে, জিন সাইমস, এথি বালাতি ও আলভিরো পিটারসেন। ২০১৯ সালে দুর্নীতির আটটি অভিযোগে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল গোলাম বদির।

বাকিরা দুই থেকে ১২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। উল্লেখ্য, কখনও জাতীয় দলের হয়ে খেলা হয়নি মাৎশিকের। ২০০৯ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ৭৭টি প্রথম শ্রেণি, ৫৭টি লিস্ট ‘এ’ ও ২৪টি কুড়ি ওভারের ম্যাচ খেলেছেন ৩৭ বছর বয়সী এ পেসার।

সবমিলিয়ে স্বীকৃত ক্রিকেটে ১৫৮ ম্যাচে মাৎশিকের উইকেটসংখ্যা ২৫০টি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *