ফাইনাল ম্যাচে মাত্র ৪০ বলেই আয়ারল্যান্ডের কাছে হারলো রশিদ খানের দল। আয়ারল্যান্ড-আফগানিস্তান সিরিজের আগের ম্যাচগুলোতেও বৃষ্টি হানা দিয়েছিল, দিল শেষ ম্যাচেও। যার ফলে সিরিজ নির্ধারণী পঞ্চম ম্যাচটার দৈর্ঘ্য নেমে এলো ৭ ওভারে। সেই ম্যাচে রশিদ খানদের হারাতে স্বাগতিকদের খেলতে হলো মাত্র ৪০ বল।
যার ফলে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজটাও নিজেদের পকেটে পুরেছেন পল স্টার্লিংরা। আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টে গত রাতে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমেছিল আফগানিস্তান। তবে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি তাদের।
১৫ ওভার খেলে মোটে ৯৫ রান তুলতে পেরেছিল দলটি। এরপরই শুরু বৃষ্টির। যার ফলে আফগানরা আর ব্যাট করতে নামতেই পারেনি, আইরিশদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৭ ওভারে মাত্র ৫৬ রানের।
সে লক্ষ্য ৪০ বলেই টপকে গেছে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ওভারে হজরতউল্লাহ জাজাইকে হারিয়ে শুরু আফগানদের। এরপর পাওয়ারপ্লেতে রহমানুল্লাহ গুরবাজ আর ইব্রাহিম জাদরানকেও হারিয়ে বসে দলটি।
চারে নামা উসমান গনিই লড়েছেন কিছুটা। ৪০ বলে ৪৪ রান করেছেন শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে। ওপাশে অবশ্য তাকে আর কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি। নাজিবুল্লাহ জাদরান আর মোহাম্মদ নবী করেছেন কেবল ১০ রান।
শেষ দিকে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ১৪ বলে করেন ১৫ রান। ৪ ওভারের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে উসমান আর ওমরজাই তোলেন ২৯ রান। আয়ারল্যান্ডের মার্ক অ্যাডায়ার দুই ওভারে ১৬ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন।
আইরিশদের জয়ের পথটা তিনিই গড়ে দিয়েছিলেন বলে তার হাতেই উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার। জশুয়া লিটল তিন ওভারে মাত্র ১৪ রান খরচায় নিয়েছেন দুইটি উইকেট। আফগানদের রান যখন ১৫ ওভারে ৯৫, তখনই নামে বৃষ্টি।
যার ফলে স্বাগতিকদের লক্ষ্যটা ছোট হয়ে আসে আরও। সাত ওভারে ওভারপ্রতি ৮ রানের প্রয়োজন পড়ে দলটির। পল স্টার্লিংয়ের ১০ বলে ১৬, অ্যান্ডি ব্যালবার্নির ৯ বলে ৯, লরকার টাকারের ১২ বলে ১৪।
হ্যারি টেক্টরের ৫ বলে অপরাজিত ৯ আর জর্জ ডকরেলের ৪ বলে অপরাজিত ৭ রানে জয়টা বেশ সহজই হয়েছে আইরিশদের।
এ জয়ের ফলে আয়ারল্যান্ড নিজেদের ইতিহাসের দ্বিতীয়বার টেস্ট খেলুড়ে কোনো দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতার স্বাদ পেল। গেল বছর জিম্বাবুয়েকেও একই ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল দলটি।