হ্যামিল্টনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩৪ রান জড়ো করে বাংলাদেশ। ফর্মের তুঙ্গে থাকা ফারজানা হক এই ম্যাচেও তুলে নেন অর্ধশতক। পাকিস্তান নারী দলের বিপক্ষে শেষ তিন ম্যাচের মধ্যে দুই ম্যাচই জিতেছিল বাংলাদেশ।
আর তাই নারী বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে নামার আগে বাড়তিভাবে অনুপ্রাণিত ছিল টাইগ্রেসরা। ম্যাচের আগেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তার, শারমিন আখতার সুপ্তা এবং ফারজানা হক পিঙ্কির দারুণ তিনটি ইনিংস ও বোলারদের নৈপুণ্যে নারী বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ।
হ্যামিল্টনে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে সাবধানী শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ওপেনার শামিমা সুলতানা (১৭) ফিরলে আরও সতর্ক হয় বাংলাদেশ। দলীয় ৭৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আরেক ওপেনার সুপ্তার ব্যাটে আসে ৪৪ রান।
এরপর ৯৬ রানের জুটি গড়েন পিঙ্কি ও জ্যোতি। এই জুটিই বাংলাদেশের বড় লক্ষ্যের ভিত গড়ে দেয়। ৪০তম ওভারে ফিরে যান জ্যোতি। যাওয়ার আগে ৪৬ রান করেন প্রমিলা এই অধিনায়ক। জ্যোতি হাফ সেঞ্চুরি মিস করলেও দেখেশুনে খেলে হাফ সেঞ্চুরি আদায় করেন পিঙ্কি। দলের রান বাড়াতে থাকেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত পিঙ্কির ৭১ রানের নৈপুণ্যে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাত উইকেটে ২৩৪ রান করে বাংলাদেশ। প্রমিলা ওয়ানডে ক্রিকেটে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এমন সংগ্রহে পৌঁছাতে অবদান রেখেছেন রুমানা আহমেদ (১৬), রিতু মনি (১১) ও সালমা খাতুনরাও (১১*)।
বোলিংয়ে নেমে অবশ্য শুরু থেকেই আতঙ্কে ছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। কেননা উদ্বোধনী জুটিতে ৯১ রান তোলে তারা। এই জুটি ভাঙেন রুমানা। নাহিদা খানকে ৪৩ রানে বোল্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস : পাকিস্তান
বাংলাদেশ : ২৩৪/৭ (৫০ ওভার)
ফারজানা ৭১, জ্যোতি ৪৬, শারমিন ৪৪
নাশরা ৪১/৩, ওমাইমা ৩১/১
পাকিস্তান : ২২৫/৯ (৫০ ওভার)
আমিন ১০৪, নাহিদা ৪৩, বিসমাহ ৩১
ফাহিমা ৩৮/৩, রুমানা ২৯/২
ফল : বাংলাদেশ ৯ রানে জয়ী।