টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবারে ওপেনিং করতে নেমেই বাজিমাত করেছেন ক্যামেরন গ্রিন। ৬১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়াকে কক্ষপথে রাখলেও হঠাৎই পথ হারায় সফরকারীরা।
২০৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৪ উইকেটের জয়ে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ১৮ রানে ফিরলেও ছয়টি চারও দুটি ছক্কায় ২১ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন ওয়েড।
এদিন জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সামনে ২০৯ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা ঝুলিয়ে দেয় টিম ইন্ডিয়া। যদিও তার পরেও ম্যাচ জেতা সম্ভব হয়নি ভারতের পক্ষে। দুর্দান্ত বোলিং করেও দলকে জেতাতে পারেননি অক্ষর প্যাটেল।
ব্যর্থ হয় লোকেশ-হার্দিকের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরি। ভারতের সামনে আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের আগে নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার শেষ সুযোগ বলা চলে।
ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২টি টি-২০ সিরিজে একজোট হয়ে মাঠে নামার সুযোগ পাচ্ছেন বিশ্বকাপের জন্য নির্বাচিত হওয়া ভারতীয় তারকারা। স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের ফাঁক-ফোকরগুলো মেরামত করার সুবর্ণ সুযোগ রেহিত শর্মাদের সামনে।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে এই সিরিজে যেমন নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করে নিতে পারবে ভারত, ঠিক তেমনই শক্তিশালী অজিদের হারাতে পারলে বিশ্বকাপের আসরে অন্য দলগুলির বাড়তি সমীহ আদায় করে নেবে টিম ইন্ডিয়া।
যদিও সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারতে হয় রোহিতদের। ১৯.২ ওভারে চাহালের বলে চার মেরে অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত করেন প্যাট কামিন্স।
ভারতের ৬ উইকেটে ২০৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে ২১১ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৪ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে ৩ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ১-০ এগিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
ম্যাথিউ ওয়েড ২১ বলে ৪৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৬টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। কামিন্স ১ বলে ৪ রান করে নট-আউট থাকেন। চাহাল ৩.২ ওভারে ৪২ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট নেন।