টেস্টে আইসিসির মে মাসের সেরা ব্যাটসম্যানকে প্রকাশ করা হয়েছে। অফ ফর্ম নিয়ে সমালোচনা হলেও ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কাকে পেয়ে টানা দুই সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিকুর রহিম।
এমন পারফরম্যান্সের পর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস এবং আসিথা ফার্নান্দোর পাশাপাশি আইসিসির মে মাসের সেরা হওয়ার দৌড়ে জায়গাও পেয়েছিলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
যদিও মুশফিককে পেছনে ফেলে আইসিসির মে মাসের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন ম্যাথুস। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছিলেন ম্যাথুস।
দুই টেস্টে ডানহাতি এই ব্যাটার করেছিলেন ৩৪৪ রান। যেখানে প্রথম টেস্টে খেলেছিলেন ১৯৯ রানের ইনিংস। ঢাকা টেস্টেও অপরাজিত ১৪৫ রান করেছিলেন তিনি।
মাস সেরা নির্বাচিত হয়ে ম্যাথুস বলেন, ‘আইসিসির মাস সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হওয়ায় আমি সম্মানিত বোধ করছি। আসিথা ফার্নান্দো এবং মুশফিকুর রহিমকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। শ্রীলঙ্কান দলে সুযোগ পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ।
‘আমার প্রতি বিশ্বাস রাখার জন্য দলের ক্রিকেটারদের এবং ভক্তদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। শ্রীলঙ্কার মানুষের জন্য আমার পুরস্কার উৎসর্গ করলাম।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজে দুর্দান্ত ছিলেন মুশফিকও। চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টে ১০৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিক। ড্র হওয়া টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংস ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগই হয়নি তার ও বাংলাদেশের।
ঢাকা ফিরে ব্যাট হাতে রানের ধারা অব্যাহত রেখেছিলেন মুশফিক। ২৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও লিটন দাসের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়ে তুলেছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
২৭২ রানের জুটি গড়ার সঙ্গে লিটনের মতো সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মুশফিকও। লিটন ফিরলেও ১৭৫ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে তিন ইনিংসে ব্যাটিং করা মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছিল ৩০৩ রান। শ্রীলঙ্কা সিরিজে বাংলাদেশের পক্ষে যা সর্বোচ্চ। সেই সিরিজে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে মে মাসের সেরা হওয়ার জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন আসিথা। চট্টগ্রামে ৩ উইকেট নেয়ার পর ঢাকা টেস্টে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন ডানহাতি এই পেসার।